Advertisement
Advertisement
Santosh Trophy 2023-24

Santosh Trophy 2023-24: খারাপ মাঠ, জঘন্য রেফারিং! ওড়িশাকে হারালেও ক্ষোভে ফুঁসছে বঙ্গ শিবির! বিস্ফোরণ ঘটালেন রঞ্জন চৌধুরী

জিতলেও খুশি নয় বাংলা শিবির।

Santosh Trophy 2023-24: Bengal coach Ranjan Chowdhury fumes after beating Odisha। Sangbad Pratidin

জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল বাংলা। ফাইল ছবি

Published by: Sabyasachi Bagchi
  • Posted:October 9, 2023 5:50 pm
  • Updated:October 9, 2023 6:45 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ জনকে নিয়েও ওড়িশাকে (Odisha) ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেওয়া। তবুও বাংলা (Bengal) দলের ক্ষোভ এতটুকু কমছে না। জঘন্য মাঠ, খারাপ রেফারিং-এর পরেও বিপক্ষকে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy 2023-24) প্রাথমিক পর্বের অভিযান শুরু করল বাংলা। ১৪ মিনিটে বাংলাকে প্রথম গোলে এগিয়ে দেন বিজয় মুর্মু (Vijay Murmu)। এর পর ৪৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন জিতেন মুর্মু (Jiten Murmu)। ফলে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে পাঞ্জাবের (Punjab) বঙ্গার পিটিআই মেহঙা সিং স্টেডিয়াম ছাড়ে বঙ্গ শিবির। তবুও হেড কোচ রঞ্জন চৌধুরীর (Ranjan Chowdhury) ক্ষোভ এতটুকু কমছে না।

সংবাদ প্রতিদিন.ইন-কে রঞ্জন বলেন, “দলের পারফরম্যান্সের থেকে বড় কথা হল, ছেলেরা অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে থেকে ম্যাচটা বের করে এনেছে। একাধিক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও জিতেছি। এটাই বড় কথা। এখন আমাদের লক্ষ্য দিল্লির বিরুদ্ধে জয়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: CFL ডার্বি হোক দ্রোণাচার্য কোচ নইমের বেনিফিট ম্যাচ, IFA-র কাছে অনুরোধ মোহনবাগানের]

হালকা বল নিয়েও বঙ্গ শিবিরের অভিযোগ রয়েছে। তবে সবেচয়ে বেশি বিরক্ত জঘন্য রেফারিং নিয়ে। রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে রঞ্জনের প্রতিক্রিয়া, “প্রায় ২৫ মিনিট আমার দল ১০ জনে খেলেছে। একটু টাচ লাগলেই কার্ড দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে মোট ছটা কার্ড দেখানো হয়েছে। এরমধ্যে আবার অন্যতম গোলদাতা বিজয়কে লাল কার্ড দেখানো হল। আসলে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচের আগে আমাদের সমস্যা বাড়ানোর জন্যই জঘন্য রেফারিংয়ের মধ্যে খেলতে হল।”

Advertisement

সূচিতে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে ওড়িশা ও দিল্লি, প্রথম দুটি ম্যাচের কিক অফ সকাল ৮টার সময়। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে খারাপ মাঠ। সেটা নিয়েও বেজায় বিরক্ত টিম ম্যানেজমেন্ট। রঞ্জন ফের বলেন, “খেলাটা তো ফুটবলারদের জন্য। ফুটবলের উন্নতির জন্য। সকাল ৮টায় কখনও ম্যাচ হতে পারে! সকাল ৫টার সময় টিম হোটেল থেকে বেরিয়েছিলাম। এর পর দেড় ঘণ্টা জার্নি করার পর মাঠে যেতে হয়েছে। মাঠ সম্পর্কে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো। মনে হচ্ছিল আমাদের দলের ছেলেরা কোনও চাষের খেতে খেলছে! আমি ফুটবলার হিসাবে ছটা সন্তোষ ট্রফি খেলেছি। এবং কোচ হিসাবে এটা আমার দ্বিতীয় সন্তোষ ট্রফি। ফুটবল কেরিয়ারে এত বাজে মাঠ জীবনে দেখিনি। পাঞ্জাবের ফুটবল এত উন্নত। ভেবেছিলাম মাঠ খুব ভালো হবে। কিন্তু এই মাঠ দেখে খুবই হতাশ হয়েছি। এখানে আরও কয়েকটা ম্যাচ খেলতে হবে। তাই কেউ চোট পেলে অবাক হব না।”

ওড়িশা ২৮ দিন ক্যাম্প করে প্রতিযোগিতায় নামলেও বাংলার কাছে হারতে হল। ১০ জন হয়ে গেলেও, লড়াই করে ২-০ গোলে বিপক্ষকে উড়িয়ে দিল রঞ্জনের ছেলেরা। এবার প্রতিপক্ষ দিল্লি। ১১ অক্টোবর সকাল ৮টার সময় ফের সেই বঙ্গার পিটিআই মেহঙা সিং স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে বাংলা। দ্বিতীয় ম্যাচে শঙ্কর রায়-নরহরি শ্রেষ্ঠারা কেমন পারফরম্যান্স করে সেটাই দেখার।

[আরও পড়ুন: ভারতের কোন মাঠকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিস্ফোরণ ঘটালেন জস বাটলার?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ