ভারত ৬২২-৭ (পূজারা ১৯৩, পন্থ ১৫৯)
অস্ট্রেলিয়া ২৩৬-৬ (হ্যারিস ৭৯)
প্রথম ইনিংসে ৩৮৬ রানে এগিয়ে ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে একটা জিনিস নিশ্চিত হয়ে গেল। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে সিডনি টেস্টে ভারতের হারের আর কোনও সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার সিরিজ জয় প্রায় নিশ্চিত। তৃতীয় দিনের শুরুতে মার্কাস হ্যারিসের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ভারতীয় স্পিনারদের যুগলবন্দিতে কোমর ভেঙে যায় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপের। দিনের শেষে অজিদের স্কোর ৬ উইকেটে ২৩৬ রান। এখনও ভারতের প্রথম ইনিংসের স্কোরের থেকে ৩৮৬ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া।
[রাষ্ট্রীয় সম্মান থেকে বঞ্চিত আচরেকর, শচীনকে কী বার্তা দিল শিব সেনা?]
ভারতের বিশাল স্কোরের জবাবে শুরুটা সাবধানী ভঙ্গিমায় করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ৭২ রানের ওপেনিং জুটি হয়তো অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে ফেরার স্বপ্নও দেখাচ্ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিলেন কুলদীপ-জাদেজা। অজি ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দিলেন ভারতীয় স্পিন জুটি। হ্যারিস-খোয়াজাকে যখন বিপজ্জনক মনে হচ্ছিল তখন প্রথম আসরে নামেন কুলদীপ। ব্যক্তিগত ২৭ রানের মাথায় খোয়াজাকে ফেরান তিনি। এরপই জাদেজার শিকার হন হ্যারিস। তাঁর ৭৯ রানের ইনিংসই অজিদের হয়ে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এরপর ছোট ছোট জুটি তৈরি হলেও ভারতের পক্ষে তা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়নি। একে একে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন মার্শ, হেড, টিম পেইনরা। কুলদীপ পান ৩ টি উইকেট। ২ টি উইকেট দখল করেন জাদেজা, শামি পেয়েছেন একটি উইকেট। খারাপ আলোর জন্য খেলা নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ না হলে আরও বিপাকে পড়তে পারত অস্ট্রেলিয়া। তবে, দিনের শেষে ভারতীয় বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন হ্যান্ডসকম্ব এবং প্যাট কামিন্স। মেলবোর্ন টেস্টেও ভারতকে বেশ ভুগিয়েছিলেন কামিন্স। তাই তাঁকে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরাতে মরিয়া বিরাটরা।
[অজি বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন ‘বেবিসিটার’ পন্থ, সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গড়লেন ইতিহাস]
ভারতের হাতে প্রথম ইনিংসের লিড হিসেবে এখনও রয়েছে ৩৮৬ রান। অন্যদিকে, ফলো অন বাঁচাতে অস্ট্রেলিয়াকে করতে হবে এখনও ১৮৭ রান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে বড় কোনও অঘটন না ঘটলে ভারতের হারের আর কোনও সম্ভাবনা নেই। বড় জোর ড্র করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। তবে, বিরাটরা জিতেই সিরিজ শেষ করতে চান। তাই টিম ইন্ডিয়ার লক্ষ্য, দ্রুত অস্ট্রেলিয়ার শেষ চার ক্রিকেটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরানো।