Advertisement
Advertisement

Breaking News

চলে গেলেন ‘বিশ্বশ্রী’ মনোহর আইচ

শনিবারই কিংবদন্তি বক্সার মহম্মদ আলির মৃত্যুর খবরে শোকাহত হয়ে পড়ে বিশ্ব ক্রীড়ামহল৷ কলকাতাতে এসে তিনি কী কী করেছিলেন, সেসব স্মৃতিই ঘাঁটছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার সাব্বির আলি-সহ ময়দানের অন্যান্য ক্রীড়াবিদরা৷ ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই 'বিশ্বশ্রী' মনোহর আইচের প্রয়াণের খবর কানে এসে পৌঁছল৷

Indian bodybuilding legend Manohar Aich passes away
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 5, 2016 6:45 pm
  • Updated:February 28, 2019 5:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব ছাপিয়ে ব্রহ্মাণ্ড জয় করেছিলেন তিনি৷ হাজার হাজার মানুষকে দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বাঁচানোর মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন৷ ১০২ বছর বয়সে ইহলোকের পাঠ চুকিয়ে চিরতরে বিদায় নিলেন৷ পড়ে রইল তাঁর সাফল্য ও কীর্তির অজস্র ইতিহাস৷ তিনি মনোহর আইচ৷ বিশ্ব দরবারে যিনি ‘পকেট হারকিউলিস’ নামেই বেশি পরিচিত৷ তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে একটা যুগের অবসান ঘটল৷
শনিবারই কিংবদন্তি বক্সার মহম্মদ আলির মৃত্যুর খবরে শোকাহত হয়ে পড়ে বিশ্ব ক্রীড়ামহল৷ কলকাতাতে এসে তিনি কী কী করেছিলেন, সেসব স্মৃতিই ঘাঁটছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার সাব্বির আলি-সহ ময়দানের অন্যান্য ক্রীড়াবিদরা৷ ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ‘বিশ্বশ্রী’ মনোহর আইচের প্রয়াণের খবর কানে এসে পৌঁছল৷ বার্ধক্যজনিত কারণে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ১০২ বছরের ‘যুবক’৷ তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্র বাগুইআটির বাড়িতে ছুটে আসেন তাঁর ছাত্র ও অনুগামীরা৷ ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লাও পৌঁছে যান তাঁর বাড়িতে৷

monohor_web
মিষ্টভাষী ও বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের জন্য ক্রীড়ামহলে ভালবাসার পাত্র ছিলেন তিনি৷ মদ ও সিগারেটে কখনও হাতও দেননি৷ বডি বিল্ডারদের কাছে তাঁর ফিটনেস ছিল বিস্ময় ও গবেষণার বিষয়৷ ডায়েটিং করে সুস্থ থেকেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন৷ অবশেষে দীপ নিভল৷ চক্ষু ও দেহদান করে গিয়েছেন তিনি৷

Advertisement

manohar_aich_2
প্রথম ভারতীয় হিসেবে ১৯৫১ সালে মিস্টার ইউনিভার্সের খেতাব জিতেছিলেন মনোহর আইচ৷ পরের বছর প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন৷ বাংলাদেশের কোমিল্লার ছোট্ট একটা গ্রামে জন্মেছিলেন৷ ছোট থেকেই রুগ্নতায় ভুগতেন৷ ১৯৪২ সালে রয়্যাল বায়ু সেনায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই শরীরচর্চায় মন দেন তিনি৷ দীর্ঘদিন এ রাজ্যে থেকে তিনি কলকাতারই ছেলে হয়ে উঠেছিলেন৷ তাঁকে দেখে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বলিউডের নায়করাও৷ একবার নয়, বডি বিল্ডার হিসেবে একাধিকবার দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন তিনি৷ তিনবার এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছেন৷ বয়স কখনওই তাঁর পথের কাঁটা হতে পারেনি৷ ৯০ বছর বয়সে শেষবার বডিবিল্ডিংয়ের মঞ্চে উঠেছিলেন৷ সকলকে সুস্থতার পাঠ পড়িয়ে চোখের জলে বিদায় নিলেন ভারতীয় ক্রীড়াজগতের এই নক্ষত্র৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ