ভারত : প্রথম ইনিংস : ৩২৯
ইংল্যান্ড : প্রথম ইনিংস : ১৬১
ভারত : দ্বিতীয় ইনিংস : ৩৫২—৭ ডি. (কোহলি ১০৩, পুজারা ৭২)
ইংল্যান্ড:স দ্বিতীয় ইনিংস ২৩/০ (কুক ব্যাটিং ৯, জেনিংস ব্যাটিং ১৩)
ইংল্যান্ডের থেকে ৪৯৮ রানে এগিয়ে ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বদেশীয় জো রুট নয়। ট্রেন্টব্রিজে বিরাট কোহলির দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরি দেখার পর প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন ভারত অধিনায়ককেই বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানের শিরোপা দিয়ে দিলেন।
কোহলির সেঞ্চুরি দেখার পর টুইটের স্রোত বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভনও বাদ যাননি। তিনি টুইট করেন, ‘আর কোনও সন্দেহের জায়গা নেই। বিরাটই এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান।’ হরভজন সিং টুইট করেন, ‘কিং কোহলি, ট্রেন্টব্রিজ সেঞ্চুরির পর তোমাকে সেলাম। কী অনবদ্য ইনিংসই না খেললে।’ মহম্মদ কাইফ আবার মুগ্ধ কোহলির সেঞ্চুরি কনভারশন রেট দেখে। তিনি টুইট করেন, ‘হাফসেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করার হারকে অবিশ্বাস্য পর্যায়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে কোহলি। বস বলতে যা বোঝায়, একদম তাই।’ এখানেই না থেমে তিনি আরও লেখেন, ‘২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে চার টেস্টে কোহলি করেছিল ৬৯২ রান। এবারের ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টে মনে হচ্ছে, সেটাকেও ছাপিয়ে যাবে। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর ভাল যায়নি কোহলির। কী কামব্যাকটাই না করল!’
[এশিয়াডে ইতিহাস, প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগির হিসেবে সোনা জিতলেন ভিনেশ ফোগাট]
যা ঘটনা। চার বছর আগে বিভীষিকাময় ইংল্যান্ড সফরের পর বলাবলি হচ্ছিল, এ বারের ইংল্যান্ড সফরই কোহলির ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার। চূড়ান্ত সীমান্ত। ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলের মতো কারও কারও মনে হচ্ছে, ২০১৪-র ব্যর্থতা এরপর স্রেফ কবরে চলে গেল। ‘কোহলি বুঝিয়ে দিল, সব ফর্ম্যাটেই ও সেরা। ২০১৪-র ব্যর্থতা এরপর মৃত।’ প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া আবার টুইট করেছেন, ‘খিদে আর শৃঙ্খলা থাকলে একজন ক্রিকেটার কোথায় পৌঁছতে পারে, তার সেরা উদাহরণ বিরাট। ইংল্যান্ডের শেষ ভারত সফরে জো রুটের থেকে মাইলখানেক এগিয়ে থেকে শেষ করেছিল বিরাট। কেউ কেউ বলতে পারেন, সেটা ছিল ভারতের মাটিতে। কিন্তু এরপর কী বলবেন? কোহলি তো এবার রুটের দেশেই রুটকে ছাপিয়ে চলে গেল।’
[নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে রেকর্ড হার্দিকের, চালকের আসনে টিম ইন্ডিয়া]
আর শুধু প্রাক্তনরাই কেন? বর্তমান ক্রিকেটাররাও বা কম কোথায় যাচ্ছেন? সোমবার চেতেশ্বর পুজারা এসেছিলেন দিনের খেলা শেষে কথা বলতে। নাসের হুসেনের প্রশ্নে পুজারা বলে দেন, “এজবাস্টনের কঠিন পরিবেশে বিরাটকে যে ভাবে অনায়াসে কভার ড্রাইভ মারতে দেখেছি, স্রেফ মুগ্ধ করে দেওয়ার মতো। বাকি ব্যাটসম্যানদের চেয়ে ও পুরোপুরি আলাদা। আর কোহলির সঙ্গে ব্যাটিং? আগেও বলেছি, আবার বলছি। কোহলির সঙ্গে ব্যাট করলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়।”