সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’সপ্তাহের জন্য পুরোপুরি মাঠের বাইরে চলে গেলেন সোনি নর্ডি! বুধবারই মোহনবাগান অধিনায়কের এমআরআই হয়। সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি। তবে তার আগেই পরিস্থিতি যেমন তাতে কম করে দু’সপ্তাহ সোনিকে বিশ্রামে থাকতে হতে পারে। এই মুহূর্তে সোনি ওয়াকিং স্টিক নিয়ে হাঁটছেন। তবে চিকিৎসক মহল মনে করছে, তাঁর হাঁটুর লিগামেন্ট অন্তত ছেঁড়েনি। ফলে বড়সড় চোট নয়। কিছুদিন বিশ্রাম নিলেই ফিট হয়ে যাবেন। তবে ২৯ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে বাগানের হোম ম্যাচে সোনির খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। তারপরের ম্যাচে তাঁকে নামানোর চেষ্টা হয়তো হবে। কিন্তু তাতেও তিনি কতটা কী করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। যেহেতু ম্যাচ ফিটনেসের প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
[বিতর্কের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীকে বিয়ের আমন্ত্রণ বিরুষ্কার]
শোনা যাচ্ছে, মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন চাননি মঙ্গলবার নেরোকার বিপক্ষে সোনি খেলুন। সঞ্জয়ের ব্যাখ্যা ছিল, এবারের আই লিগে তাঁর প্রথম চোট থেকে একশোভাগ ফিট না হয়ে ওঠা সোনি মাঠে নামলে গুরুতর চোটের কবলে পড়ে যেতে পারেন। কোচের ধারণা যে সঠিক মঙ্গলবার যুবভারতীতে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। গোলশূন্য ম্যাচের শেষে সঞ্জয় রাখঢাক না রেখে বলে দিয়েছিলেন, “ইনজুরি নিয়ে খেললে যে কী হয় নিশ্চয় সকলে তা উপলব্ধি করতে পারছেন।” বুধবার ছিল সোনির ছেলের জন্মদিন। মোহনবাগানের মুষ্টিমেয় কর্তা ও দলের ফুটবলারদের তিনি নিমন্ত্রণ তালিকায় রেখেছেন। এদিন দেখা যায়, হাঁটুর চোট নিয়েই ছেলের জন্মদিন উদযাপনে নেমে পড়েছেন তিনি। মোহনবাগান কোচ অবশ্য এখনই ভেঙে পড়তে নারাজ। সঞ্জয়ের সাফ কথা, “মানছি পরপর ম্যাচ ড্র হচ্ছে বলে অনেকে হয়তো হারের মতই ভাবছে। তবে দুশ্চিন্তা করার মত সময় এখনও আসেনি। একটা জিনিস নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন, আমরা প্রচুর সুযোগ তৈরি করছি। সব ম্যাচেই যে গোল পাব তা তো হতে পারে না। শিলং লাজং, নেরোকার মতো দলগুলোর বিরুদ্ধে একটা গোল করলেই দেখতেন খেলা অন্যরকম হয়ে যেত। সেই গোলটাই এলো না।”
[নতুন বছরের শুরুতেই আইপিএলের নিলাম, নজরে কারা?]
মরশুমের শুরু থেকে বলা হচ্ছিল, মোহনবাগানের ফরোয়ার্ড লাইন স্বপ্নের। ক্রোমা-ডিকা এবং সোনি নর্ডি। যাঁরা মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারেন। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এঁরা কেউ চোট পেয়ে মাঠের বাইরে। কেউ গোলখরায় আক্রান্ত। সঞ্জয় মানতে নারাজ তাঁর দল শুধু ফরোয়ার্ড নির্ভর। “আমি কখনও বলিনি আমাদের স্ট্রাইকিং ফোর্সই সেরা। গত তিন বছর বিদেশিদের সঙ্গে জেজে-বলবন্ত ছিল। কোনও ম্যাচে বিদেশিরা ব্যর্থ হলে বলবন্ত বা জেজে গোল করে জিতিয়েছে। এবার ওদের দু’জনকে খুব মিস করছি।” ডিকা সম্পর্কে মোহনবাগান কোচের মূল্যায়ন, “ছেলেটা কিন্তু চেষ্টা করছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে তিন গোল করেছে। তাহলে ওকে ব্যর্থ বলবেন কী করে? হয়তো দেখবেন মরশুমের শেষে গতবারের মতোই গোল করেছে। একটা কথা নিশ্চয় মানবেন, লাজংয়ের হয়ে খেলা আর মোহনবাগান জার্সি পরার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। বার্সেলোনার সুয়ারেজ টানা এগারো ম্যাচ গোল পায়নি। কিন্তু আবার শেষ চার ম্যাচে তিনটে গোল করেছে। ডিকা খুব আন্তরিক।” এদিকে, সবুজ-মেরুনের নতুন বিদেশি ওয়াটসন ইতিমধ্যে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। আগামী সপ্তাহে আসছেন তিনি।