Advertisement
Advertisement

Breaking News

জুনিয়রদের কাছে হেনস্তার কড়া জবাব দিলেন লিয়েন্ডার

সতীর্থ তথা জুনিয়রদের থেকে বারবারই শব্দ বানে বিদ্ধ হতে হচ্ছে ১৮ টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী কিংবদন্তিকে।

Leander Paes replies to Sania Mirza and Rohan Bopanna's comment
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 20, 2016 5:54 pm
  • Updated:July 13, 2018 6:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রিও ওলিম্পিক থেকে ডেভিস কাপ, ভারতীয় টেনিস তারকাদের হতশ্রী পারফরম্যান্স অব্যাহত। আর সেই সঙ্গে ভারতীয় শিবিরের অন্তর্কলহও। তবে লিয়েন্ডার পেজ ও সানিয়া-বোপন্নারা যেভাবে একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু করেছেন, তাতে আর কলহ অন্দরে সীমাবদ্ধ নেই। এখন সাংবাদিক সম্মেলনে তাই কোর্টের পারফরম্যান্সের থেকে সতীর্থদের ঝামেলার কারণ বেশি করে জানতে চাওয়া হচ্ছে লিয়েন্ডার, সানিয়াদের কাছ থেকে।

ঘটনার সূত্রপাত রিও ওলিম্পিকে জুটি বাঁধা থেকে। পার্টনার হিসেবে রোহন বোপন্নার প্রথম পছন্দ ছিলেন সাকেত মিনেনি। কিন্তু এআইটিএ-র নির্দেশ মেনে লিয়ের সঙ্গেই রিওর কোর্টে নামতে হয়েছিল তাঁকে। ফল যা হওয়ার তাই হল। কোর্টের বাইরের মনোমালিন্যের প্রভাব পড়ল কোর্টের ভিতরেও। সদ্য সমাপ্ত ডেভিস কাপের ওয়ার্ল্ড গ্রুপ প্লে অফে স্পেনের কাছে ০ -৫ হারের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লি বলেন, “গত দু’টি ওলিম্পিকে সেরা দলকে পাঠানো হয়নি। তাও এবার মিক্সড ডাবলসে ভাল পারফর্ম সুযোগ ছিল।” অর্থাৎ সরাসরি সানিয়া ও বোপন্নার দিকে আঙুল তোলেন তিনি। আর তাতেই ফের লিয়ের সঙ্গে এই জুটির দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠল। রাগের মাথায় লি-কে ‘বিষাক্ত’ বলে টুইট করলেন হায়দরাবাদি সুন্দরী। একই পথে হাঁটলেন পার্টনার বোপন্নাও। টুইটারে লিখলেন, “আজকাল খবরে থাকতে খেলোয়াড়দের কটূক্তি করাটা নয়া পন্থা।”

Advertisement

India’s Rohan Bopanna, left, and Leander Paes shake hands during their doubles tennis match against Czech Republic’s Adam Pavlasek and Radek Stepanek in the Davis Cup World Group play-off tie in New Delhi, India, Saturday, Sept. 19, 2015. The Czech Republic defeated India 5-7, 2-6, 2-6. (AP Photo/Altaf Qadri)

Advertisement

সতীর্থ তথা জুনিয়রদের থেকে বারবারই শব্দবাণে বিদ্ধ হতে হচ্ছে ১৮টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী কিংবদন্তিকে। তবে ভাঙলেও মচকাতে নারাজ তিনি। বলছেন, “সাতটা ওলিম্পিকে খেলা আর ১৮টা গ্র্যান্ড স্লাম জেতা মুখের কথা নয়। দশ জন্মেও অনেকে এই উচ্চতা ছুঁতে পারবে না। কাজের কাজ না করে শুধু আমাকে নিচে নামানোর চেষ্টা করে চলেছে। আমার এই সাফল্যে অনেকের গায়েই জ্বালা ধরে। আর তাই কয়েকজন আমার ভাবমূর্তি খারাপ করতে চায়। সাধারণ মানুষের সামনে আমায় খারাপ ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চায়। সারা জীবন কেটে যায় সম্মান অর্জন করতে। আর ভাঙতে লাগে এক মুহূর্ত।”

তবে নিজের সমর্থকদের প্রতি আস্থা রয়েছে লির। বলছেন, “যে যা-ই লিখুক আর বলুক। বুদ্ধিমানরা ঠিক বুঝবেন। টেনিস ইতিহাসের পাতা খুললে একাধিকবার আমার নাম খুঁজে পাওয়া যাবে। তাই কে কী বলছে কান না দিয়ে আমি আমার খেলাটা চালিয়ে যাব।”

এতসবের মধ্যে টেনিসপ্রেমীদের মনে দু’টো প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। এক, যে দেশে শচীন তেণ্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা জুনিয়রদের থেকে এত সম্মান পান, সেই দেশে জুনিয়রদের কাছে লিয়েন্ডারকে বারবার এভাবে হেনস্তা হতে হচ্ছে কেন? দুই, এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি টেনিসে ভারতীয় সাফল্য খর্ব করার জন্য যথেষ্ট?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ