সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা মরশুমে ৪৪টি গোল। অবিস্মরণীয় সমস্ত পারফরম্যান্স। দলকে একার হাতে জেতানো। কিন্তু সের্জিও র্যামোসের একটা মাত্র খারাপ ট্যাকল। আর চোখের সামনে সব যেন ভেঙে চুরমার।
[চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে উড়িয়ে সপ্তমবার এশিয়া কাপের ফাইনালে মিতালিরা]
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের মাঝপথে অন্যের কাঁধে ভর করে তিনি যখন বেরোচ্ছেন তখন মহম্মদ সালাহর সঙ্গে কাঁদছিল গোটা ফুটবলবিশ্ব। তিনি মিশরের ফুটবলার হতে পারেন। কিন্তু তাঁকে বিশ্বকাপে দেখার প্রার্থনায় মগ্ন প্রতিটি দেশের সমর্থক। আজও সেই রাতের কথা ভাবলে তিনি আবেগরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ভাবেন, যদি মাঠে থাকতেন তাহলে হয়তো সে রকম নির্বিকারভাবে আত্মসমর্পণ করত না দল। না, সেই যন্ত্রণার রাতের রেশ এখনও কাটেনি তাঁর জীবন থেকে। আজও তাঁকে রাত জাগিয়ে রাখে র্যামোসের সেই ট্যাকল। র্যামোস যতই বলুন না কেন ইচ্ছাকৃত ট্যাকল করেননি, সালাহ এখনও ক্ষমা করেননি স্প্যানিশ ডিফেন্ডারকে। তিনি মহম্মদ সালাহ। র্যামোসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সালাহ বলছেন, “আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল। যখন মাটিতে পড়লাম তখন একইসঙ্গে শারীরিক আর মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ি। মাথায় শুধু একটাই চিন্তা ঘুরছিল, বিশ্বকাপে খেলতে পারব তো? র্যামোস আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছিল। তা বলে এই নয় ওকে ক্ষমা করে দিয়েছি। ওটা কি খুব সাধারণ একটা ট্যাকল ছিল? মনে হয় না। খারাপ লাগছিল ভেবে যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে আর খেলতে পারলাম না।”
[বিশ্বকাপের ইতিহাসের এই বিতর্কিত মুহূর্তগুলির কথা মনে আছে?]
এখানেই থামেননি সালাহ। সাম্প্রতিক সময় এই ঘটনা নিয়ে একটার পর একটা খারাপ মন্তব্য করেছেন ব়্যামোস। যা টেনে এনে সালাহ বলছেন, “র্যামোসের মন্তব্যগুলো শুনলে হাসি পায়। আসলে ও আমাকে কাঁদিয়েছিল তো। এখন হয়তো মুখে হাসি ফোটাতে চাইছে। ও তো সবকিছুই আগের থেকে বলে দিচ্ছে। হয়তো এটাও বলে দেবে আমি বিশ্বকাপে যেতে পারব কি না।” ছুটিতে রিহ্যাব চালালেও সালাহর ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। মিশরের হয়ে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে কোনওমতেই তিনি খেলতে পারবেন না। তবে বিশ্বকাপে খাল পারফর্ম করার আশা ছাড়ছেন না মিশরীয় মেসি।