সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের কিংবদন্তি টেনিস তারকা নরেশ কুমার(Naresh Kumar) প্রয়াত। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। বুধবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
নরেশ কুমারের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে দেশের টেনিসের একটি যুগের অবসান হল, তা বলাই যায়। লিয়েন্ডার পেজের (Leander Paes) উত্থানের পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে নরেশ কুমারের। ১৯৯০ সালে জাপানের বিরুদ্ধে প্রায় সবার বিরুদ্ধে গিয়ে লিয়েন্ডারকে নামিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সময়ে লিয়েন্ডারের বয়স ছিল মাত্র ১৬। ভারতীয় টেনিসে শুরু হয় লিয়েন্ডার যুগ। ২০২০ সালে দ্রোণাচার্য সম্মানে ভূষিত করা হয় নরেশ কুমারকে।
খেলোয়াড় হিসেবেও তাঁর সাফল্য ভোলার নয়। ১৯৫৫ সালে টেনিস প্লেয়ার হিসেবে উইম্বলডনের চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত পৌঁছন তিনি। সেবার টনি ট্রাবার্টের কাছে হেরে যান নরেশ কুমার। সেবারের উইম্বলডন জিতেছিলেন টনি ট্রাবার্ট। ১৯৫৩, ১৯৫৫ এবং ১৯৫৮ সালে উইম্বলডনের ডাবলসে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছন নরেশ কুমার। ১৯৫৭ সালের উইম্বলডনের মিক্সড ডাবলসে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছন তিনি। কুমার সাহাব হিসেবে পরিচিত তিনি। অত্যন্ত ভদ্র, নম্র ও শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন নরেশ কুমার।
২২ ডিসেম্বর, ১৯২৮ সালে লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন নরেশ কুমার। ১৯৪৯ সালে ম্যানচেস্টার ওপেনের ফাইনালে পৌঁছন নরেশ কুমার। ১৯৫২ সালে ভারতীয় দলের হয়ে ডেভিস কাপে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর। তার পরে টানা আট বছর তিনি দেশের হয়ে ডেভিস কাপে প্রতিনিধিত্ব করেন। পরে ডেভিস কাপের অধিনায়ক হন নরেশ কুমার। ১৯৫২ এবং ১৯৫৩ সালে আইরিশ চ্যাম্পিয়নশিপ দু’ বার জেতেন তিনি। ওয়েলশ চ্যাম্পিয়নশিপও জেতেন নরেশ কুমার। বুধবার থেমে গেল তাঁর জীবনদীপ। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এল ভারতের টেনিস সার্কিটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.