Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sayani Das

নিউজিল্যান্ডের কুক প্রণালী জয় বাংলার সায়নীর, উচ্ছ্বাসের ঢেউয়ে ভাসছে কালনা

টানা ১১ ঘণ্টা ৫১ মিনিট জলের সঙ্গে লড়াই করে স্বপ্নজয়।

Sayani Das of Bengal won Cook Strait of New Zealand

নিজস্ব চিত্র।

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:April 3, 2024 5:50 pm
  • Updated:April 3, 2024 7:14 pm

অভিষেক চৌধুরী, কালনা: বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। কনকনে ঠান্ডা জল। উত্তাল ঢেউ, সামুদ্রিক প্রাণীর বাধা। সব কাটিয়ে অবশেষে স্বপ্নপ্রাপ্তি। বিদেশের মাটিতে ফের দেশের নাম উজ্জ্বল করলেন এক বঙ্গতনয়া। দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতি নিয়ে টানা ১১ ঘণ্টা ৫১ মিনিট জলের সঙ্গে লড়াই। ২৯.৫ কিলোমিটার সাঁতরে নিউজিল্যান্ডের কুক স্ট্রেইট (Cook Strait)  চ্যানেল জয় করলেন কালনার ২৬ বছরের তরুণী সায়নী দাস।

নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) কুক প্রণালী অবশ্য সায়নীর প্রথম চ্যালেন জয় নয়।  আগে তিনটি সিন্ধু জয় করেছেন বাংলার এই মেয়ে। কুক প্রণালী জয়ের পর দ্বিতীয় বাঙালি মহিলা হিসাবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের সময় অনুসারে সকাল ৮ টা ২২ মিনিটে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কুক স্ট্রেইটের ১৩ ডিগ্রি কনকনে ঠান্ডা জলে নামেন সায়নী। জলে নামার পর আরও খারাপ হতে থাকে আবহাওয়া। কুক প্রণালীর ওয়েলিংটন থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা পথে প্রবল ঢেউ, ঝোড়ো হাওয়ায় সোজাপথে সাঁতার কাটতে পারেননি সায়নী। তাই অনেকটা পথ অতিক্রম করতে হয় তাঁকে।  শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছে সাফল্য লাভ করেন। পথে বার বার এসেছে জেলিফিসের মত সামুদ্রিক প্রাণী। তাতে কিছুটা থমকে গেলেও থেমে যাননি সায়নী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাড়ির পাশে ৮২টি সিসি ক্যামেরা! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নজরদারির অভিযোগে হাই কোর্টে অর্জুন]

সপ্তসিন্ধুর চারটি ‘দুর্গ’ জয়ের পর এই সাঁতারু ‘পাখির চোখ’ করেছেন সপ্তসিন্ধু জয়কে। এর আগে ইংলিশ চ্যানেল,ক্যাটালিনা ও মলোকাই চ্যানেল জয় করেছেন তিনি। বাকি তিনটি চ্যানেল নর্থ চ্যানেল, সুগারু ও জিব্রাল্টার প্রণালী জয়ের পর তাঁর মাথায় উঠবে ওশেন সেভেন চ্যালেঞ্জের মুকুট। অতিরিক্ত ঠান্ডার জেরে সায়নী অসুস্থ হয়ে পড়লেও বর্তমানে ভালো রয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্যে এসেই অ্যাকশনে কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক, প্রস্তুতি নিয়ে রিপোর্ট তলব]

সায়নীর বাবা ও কোচ রাধেশ্যাম দাস জানান, “জলে নামা থেকে ওঠা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া, কনকনে ঠান্ডা জলের মত প্রতিকূল পরিবেশ,অতিরিক্ত পরিমাণে জেলিফিসের কারণে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়েছে ওঁকে। যদিও শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসে সায়নী।” তাঁর এই জয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি কালনার (Kalna) ধাত্রীগ্রামের বাসিন্দা তাঁর দিদি রিম্পা বসাক। রিম্পা জানান, “বোনের এই জয়লাভে আমরা ভীষণ খুশি। জয়ের পর ফোনে কথা বলেছি। তবে ও বেশি কথা বলতে পারছিল না। এমন পরিস্থিতিতে শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে অনেকটাই সময় লাগে। বোনরা আগামী ১০ এপ্রিল রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে নামবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ