সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: V8 সুপারকার্স ড্রাইভার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন। মিষ্টি মুখের সেই তরুণী প্রায় ২ বছর ধরে রেসিং ট্র্যাক কাঁপিয়েছেন। সেই তারকা ড্রাইভারই ড্রাইভিংয়ের হটসিট ছেড়ে নিজের ‘হট’ অবতারে পুরুষদের রাতের ঘুম কেড়েছেন। কথা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান রেনে গার্সির। বর্তমানে যিনি পর্ন দুনিয়ার নামী স্টার।
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে প্রথম ফুল-টাইম মহিলা সুপারকার্স রেসারের মুকুট উঠেছিল তাঁর মাথায়। তবে ২০১৭ সালে ধীরে ধীরে পারফরম্যান্সে ভাটা পড়ে। বেশ কিছু রেসে নজর কাড়তে ব্যর্থ হন রেনে। ফলে সেভাবে স্পনসরও জুটছিল না। এই সুযোগে তাঁর জায়গা দখল করে নেয় অন্য পেশাদার ড্রাইভাররা। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয় যে একটা সময় তাঁকে লোকাল কার ইয়ার্ডে কাজ করতে হয় বেশ খানিকটা সময়। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? নিজের পরিচিতি হারিয়ে যেতে বসেছিল রেনের।
[আরও পড়ুন: লা লিগায় টিভি ও অনলাইন দর্শকদের জন্য নয়া আকর্ষণ ‘ভারচুয়াল স্ট্যান্ড’, ব্যাপারটা কী?]
তখনই ঠিক করে ফেলেন রিয়েল লাইফে ব্যর্থ হলেও রিল লাইফে ঝড় তুলবেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। OnlyFans নামের প্রাপ্তবয়স্কদের সাইটে নিজের নগ্ন ছবি ও ভিডিও বিক্রি করেন তিনি। আর প্রথম সপ্তাহেই আয়ের অঙ্ক দেখে চক্ষু চড়কগাছ রেনের। মাত্র সাতদিনেই ভারতীয় মুদ্রার প্রায় ২ লক্ষ ২৬ হাজার টকা পেয়ে যান তিনি। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে টাকার অঙ্ক। বর্তমানে সপ্তাহে ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উপার্জন করেন বলে দাবি রেনের।
একটি ইংরাজি সংবাদমাধ্যমে বছর পঁচিশের প্রাক্তন রেসার বলেন, “ভাল পারফর্ম করতে পারছিলাম না। স্পনসরও জুটছিল না। সবকিছু ঠিক করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু একটা সময় গিয়ে স্বপ্নটা হারিয়ে গিয়েছিল। জীবনে এটাই (পর্নোগ্রাফি) সেরা কাজ করেছি। এই পেশায় যা উপার্জন করেছি, তা কখনও পারতাম না। মাত্র ১২ মাসে ৩০ বছরের লোন শোধ করতে পেরেছি।” এককথায়, নিজের বর্তমান পেশায় তিনি দারুণ খুশি। রেনের দাবি, তাঁর আর্থিক স্বচ্ছলতা স্বস্তি দিয়েছে তাঁর বাবাকেও।