সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের হয়ে বিশ্বকাপে খেলা প্রত্যেক ফুটবলারের স্বপ্ন। এবছর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে ৭৩৬ জন ফুটবলারের। এদের মধ্যে কেউ নামী ক্লাবের নামী তারকা আবার অনেকে আছেন এদেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে খুব একটা পরিচিত নন। আবার অনেক ফুটবলার আছেন যারা ক্লাব ফুটবলে রীতিমতো তারকা অথচ সুযোগ পাননি নিজের দেশের বিশ্বকাপের দলে। তালিকায় রয়েছে বিশ্বকাপ জয়ীদের নামও।
জ্যাক উইলশায়ার
একসময় উইলশায়ারকে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা উদীয়মান প্রতিভা হিসেবে মনে করা হত। তাঁর বাঁ পায়ের শট, আর নিঁখুত পাসিং মন কেড়েছিল ফুটবলপ্রেমীদের। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সুযোগ পেয়েছিলেন আর্সেনালের প্রথম দলে। জাতীয় দলে সুযোগ পান মাত্র ১৮ বছর বয়সে। দেশের হয়ে একটি বিশ্বকাপও খেলে ফেলেছেন আর্সেনালের দশ নম্বর। কিন্তু দীর্ঘদিন চোটের জন্য বাইরে থাকার দরুন এবারের বিশ্বকাপে তিনি ডাক পাননি। মরশুমের শেষের দিকে চোট সারিয়ে ভাল ফর্ম দেখালেও তাঁকে দলে নেননি কোচ গ্যারেথ সাউথগেট
সেস ফ্যাব্রেগাস
২০১০ স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। স্পেনের হয়ে একটি বিশ্বকাপ ও দুটি ইউরো জিতেছেন। গত মরশুমেও চেলসির হয়ে জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ, এবছর জিতেছেন এফএ কাপ। তবে, এই মরশুমে অ্যান্তোনিও কন্তের দলে নিয়মিত সুযোগ পাননি প্রাক্তন বার্সা তারকা। আর সেজন্যই হয়তো জাতীয় দলে ডাক পেলেন না ফ্যাব্রেগাস।
আলভারো মোরাতা
রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্তাস, চেলসি। এত বড় বড় ক্লাবে খেলেছেন মোরাতা। জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, সিরি এ-র মতো টুর্নামেন্ট। অথচ বিশ্বকাপে স্পেনের ৭ নম্বর জার্সিতে দেখা যাবে না তাঁকে। চেলসির হয়ে খারাপ ফর্মের জেরে বাদ পড়তে হয়েছে আলভারোকে। ক্লাব মরশুমে ১৫টি গোলও করেছেন তিনি। তাতেও মন গলেনি কোচ জুলিয়ান লাপেতেগুইয়ের।
মউরো ইকার্ডি
ইন্টার মিলানের জার্সি গায়ে ৩৪ ম্যাচে ২৯ গোল। কার্যত একার হাতে মান বাঁচিয়েছেন নিজের ক্লাবের। কিন্তু আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি। তাঁর বদলে হিগুয়েন, আগুয়েরোদের সুযোগ দিয়েছেন কোচ জর্জে সাম্পাওলি। যদিও, নিন্দুকেরা বলেন মেসির সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের জেরেই সুযোগ পাননি ইকার্ডি।
মারিও গোৎসে
মারিও গোৎজের নাম মনে আছে নিশ্চয়ই। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নায়ক তিনি। ফাইনালে মেসির স্বপ্নভঙ্গ করা গোৎসে এখন জাতীয় দলে ব্রাত্য। একসময় জার্মানির সবচেয়ে প্রতিভাবান ফুটবলার মনে করা হত তাঁকে। কেউ কেউ বলত জার্মান মেসি। কিন্তু সেভাবে এগোতে পারেননি বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ফরোয়ার্ড। তাঁর জন্য অবশ্য কিছুটা দায়ী শারীরিক অসুস্থতাও।