Advertisement
Advertisement

আই লিগে গড়াপেটার অভিযোগ মিনার্ভার, সিবিআইয়ের জেরার মুখে ইস্টবেঙ্গল!

ইস্টবেঙ্গলের দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

Two East Bengal officials under CBI lens over match fixing allegations

ফাইল ছবি

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 3, 2018 5:33 pm
  • Updated:May 3, 2018 5:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আই লিগ চলাকালীন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গড়াপেটার অভিযোগ তুলেছিলেন মিনার্ভা পাঞ্জাবের কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজ। আই লিগের মাঝেই সে নিয়ে শুরু হয়েছিল চাপানউতোর। মরশুম শেষে সেই সমস্যাই ফের মাথাচাড়া দিল। কারণ ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডের তদন্তভার এবার সিবিআইকে দিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।

সামনে নতুন মরশুম। নতুন করে কোচ নিয়োগ করা হচ্ছে। দলগড়ার কাজও প্রায় শেষ ইস্টবেঙ্গলের। আই লিগ খেতাব, সুপার কাপ হাতছাড়া হওয়ার স্মৃতি অতীত করে নতুন উদ্যমে ঘর গুছিয়েছে লাল-হলুদ শিবির। কিন্তু ঠিক তখনই সমস্যা দেখা দিল ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে। জানা যাচ্ছে, মিনার্ভা মালিকের আনা অভিযোগের ভিত্তিতেই সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে ফেডারেশন। যার জেরে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার রিক্রুটার অ্যালভিটো ডিকুনহা এবং গোলকিপার কোচ আবদুল সিদ্দিকিকেও জেরা করতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।

Advertisement

[হেরেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুল, জঘন্য রেফারিংয়ের অভিযোগ রোমার]

আই লিগের শেষ দিকে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল যে, মিনার্ভা না হারলে কোনওভাবেই চ্যাম্পিয়ন হতে পারত না খালিদ জামিলের দল। আর সেই কারণেই নাকি মিনার্ভা কোচকে টাকার টোপ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ইস্টবেঙ্গল। অর্থাৎ টাকা দিয়েই যে লাল-হলুদ শিবির ট্রফি কিনতে চাইছে, তেমন অভিযোগই তুলেছিলেন মিনার্ভা মালিক। AIFF ইন্টিগ্রিটি অফিসার জাভেদ সিরাজের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রঞ্জিত বাজাজ। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত জানিয়েছিলেন ইন্টিগ্রিটি অফিসারই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। তবে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের। উলটে বলেছিলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই হয়তো এমন অভিযোগ বারবার তুলছেন মিনার্ভা মালিক।

Advertisement

একবার নয়, গত আই লিগের মরশুমে দু’বার কলকাতার ক্লাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটা ও ফুটবলারদের টাকার টোপ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন চ্যাম্পিয়ন দলের কর্ণধার। প্রথমবার নাম না নিলেও দ্বিতীয়বার সরাসরি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রঞ্জিত বাজাজ। দলের ফুটবলার সৌভিক দাস, উইলিয়ান ওপোকু, অভিষেক আম্বেদকর, সুখদেব সিং, কাসিম আইদারা, রক্ষিত দাগর এবং চেঞ্চোকে নাকি গড়াপেটার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ক্লাবের সঙ্গে মিনার্ভার ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের ফোন রেকর্ড এবং অন্যান্য তথ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে চেঞ্চো-সহ সেই দলের অনেকেই এবার লাল-হলুদ জার্সি গায়ে খেলবেন। তাই জল কোন দিকে গড়ায়, সেটাই দেখার।

[অনুষ্কাকে ‘জয়’ উপহার বিরাটের, জন্মদিনে কী সারপ্রাইজ পেলেন অভিনেত্রী?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ