Advertisement
Advertisement

বিশ্বজয়ীর ঘরে ফেরা, ঈশানের মুখে শুধু স্যার দ্রাবিড়ের কথা

চোটের সময় দ্রাবিড় ও টেমমেটদের ভূমিকায় কৃতজ্ঞ বঙ্গসন্তান।

U-19 World cup hero Ishan porel lands in Kolkata
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 6, 2018 1:02 pm
  • Updated:February 6, 2018 1:23 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নায়কের ঘরে ফেরা। দমদম বিমানবন্দরে ঈশান পোড়েলকে নিয়ে একপ্রস্থ উৎসবে মাতলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। যুব বিশ্বকাপ জয়ী বঙ্গসন্তানের গলায় বারবার উঠে এল রাহুল স্যারের কথা।

[জানেন, ম্যাচ চলাকালীন সতীর্থদের কীভাবে উৎসাহ দেন ধোনি?]

Advertisement

বিশ্বজয়ের অভিজ্ঞতা: রবিবার কাপ উঠেছে। সোমবার দেশে ফিরেছেন। একদিন বাংলার মাটিতে। তবুও যেন ঘোরের মধ্যে রয়েছেন এই বঙ্গসন্তান। ঈশান বলছেন বিশ্বকাপ জয় তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন। এর পাশাপাশি এমন টুর্নামেন্টে খেলা এক বিশাল অভিজ্ঞতা। গত এক মাস রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলার যেন একটা পরিবার হয়ে উঠেছিলাম। ঘরে ফিরে তাই পৃথ্বী, শুভমনদের মিস করেন চন্দনগরের ঈশান।

Advertisement

ISHAN KOLKATA

[আসন্ন বিশ্বকাপে সিনিয়রদের দলে পৃথ্বীদের দেখতে চান না দ্রাবিড়]

লক্ষ্য সফল: কাপ উঠলেও ঈশান বলছেন পরিকল্পনা পুরোপুরি সফল হয়নি। কারণ গ্রুপ লিগে প্রথম ম্যাচে চোটের জন্য ছিটকে যাওয়ার পর খানিকটা হতাশ ছিলেন। আরও কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারলে ভাল হত।

চোটের মধ্যেও প্রত্যাবর্তন: চোট নিয়ে খেলা অত্যন্ত ঝুঁকির ছিল। ডাক্তাররা বলেছিল আবার লাগতে পারে। ঈশান বলছেন টিম ম্যানেজমেন্ট সবসময় পাশে ছিল।  তাদের জন্য পাকিস্তান ম্যাচ থেকে খেলতে পেরেছেন। একইসঙ্গে টিমমেটরাও মোটিভেট করেছিল। বাড়ি থেকেও বলেছিল বেশি না ভাবতে।

[আগে লাঞ্চ পরে খেলা, আজব সিদ্ধান্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোরাক আম্পায়াররা]

কতটা বদল হল ঈশানের: একদম একইরকম। বিমানবন্দরে মা-বাবার আদরে সেই লাজুক ছেলে।

বারবার দ্রাবিড়ের কথা: কোচ দ্রাবিড় নিয়ে ঈশানের প্রশংসা যেন শেষ হচ্ছে না। বলে গেলেন তাঁর ফিরে আসার পিছনে অনেকটাই কৃতিত্ব রাহুল স্যারের। চোট পর্বে রাহুল স্যার যেভাবে পাশে ছিলেন তাতে ঈশান অভিভূত। কিংবন্তির থেকে কিছুটা শিখতে পেরে যেন গর্বিত ঈশান। বলছেন ট্রফি জেতার পর শান্ত মানুষটিকেও অচেনা লেগেছিল।

আইপিএল নিলামের প্রভাব: দল না পেলেও হতাশ নন ঈশান। আইপিএল নিলামের আগে রাহুল স্যার ঈশানদের বলেছিল প্রতি বছর এমন সময় আসবে কিন্তু বিশ্বকাপ আসবে না।  সব ভুলে তাই সেমি ফাইনাল ও ফাইনালে মনোনিবেশ করেছিলেন ঈশানরা। পাশাপাশি আরও একটা দামি কথা রাহুল স্যার তাদের বলেছেন। তাহলে আইপিএলের থেকেও টেস্ট ক্রিকেট বড় মঞ্চ।

তবে ঈশানের অভিভাবকরা বলছেন ধাক্কা খেলেই যেন ছেলে ফিরে আসে। কলকাতা বিমানবন্দের উচ্ছ্বাসের মধ্যেও ঈশানের বাবা জানিয়ে দিলেন ছেলেকে অনেক দূর যেতে হবে। সিনিয়র টিমে জায়গা পেতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হবে।  মা ছেলের জন্য বাড়িতে আইসক্রিম, চকোলেট রেখেছেন। আদরের ফাঁকে ছাপোষা বধূ ঈশানকে শিখিয়ে গেলেন বড় হওয়ার পিছনে যাঁদের অবদান তাঁদের মনে রেখো।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ