সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান থেকে যখন লন্ডনে উড়ে এসেছিলেন, তখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে সেভাবে পরিচিত ছিলেন না তিনি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে রাতারাতি তারকা ক্রিকেটার হয়ে উঠেছিলেন ফাখার জামান। সেই পাক ব্যাটসম্যান প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘরে তোলার পর ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং জসপ্রীত বুমরাহর বিরুদ্ধে স্লেজিংয়ের অভিযোগ তুললেন।
ফাখার জানাচ্ছেন, টুর্নামেন্টের ফাইনালের দিন ব্যাটিংয়ের সময় বিরাট ও জসপ্রীত লাগাতার কিছু না কিছু বলে চলেছিলেন। তাঁর আত্মবিশ্বাসকে টলমল করে দেওয়ার জন্যই এই প্রয়াস বলে জানাচ্ছেন পাক ক্রিকেটার। বলছেন, “তখন আমি আর আজহার আলি ক্রিজে ব্যাটিং করছি। বিরাট হিন্দিতে বলছেন, ‘আরে একটা উইকেট তুলে নিতে পারলেই, পরপর উইকেট পড়তে শুরু করবে। এই উইকেটটা তুলতে হবে।’ ফাখারের ব্যক্তিগত রান তখন ৩। বুমরাহর বলে আউট হয়ে যান পাক ওপেনার। ভারতীয়দের সেলিব্রেশনও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু সেই আনন্দে জল ঢেলে দেন আম্পায়ার। জানিয়ে দেন, বুমরাহর ডেলিভারি নো বল ছিল। লাইফলাইন পেয়ে যান ফাখার। আবার নয়া উদ্যমে তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরানোর প্রয়াস শুরু করেন ভারতীয় বোলাররা। কিন্তু সুইং বা স্পিন, কিছুই ফাখারের দাপুটে ব্যাটিং রুখতে পারেনি সেদিন। আর তখনই মেজাজ হারিয়ে ফাখারের উদ্দেশে জসপ্রীত বলেন, “একটু সামনে এসে খেলেও রান করো, আর কতক্ষণ এভাবে খেলবে!”
সেই ম্যাচে ১০৬ বলে ১১৪ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলে পাকিস্তানের জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি হয়ে উঠেছিলেন আনকোড়া ওই ক্রিকেটার। তবে বিরাট, জসপ্রীতদের দোষারোপ করতে নারাজ তিনি। গোটা বিষয়টিকে খেলোয়াড়োচিতভাবেই নিয়েছেন। বলছেন, “ওঁরা কোনও খারাপ ভাষা ব্যবহার করেননি। স্লেজিংয়ের সীমাও ছাড়াননি। খেলার সময় এসব হয়েই থাকে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিটি দলই চায় বিপক্ষকে চাপে ফেলে দিতে। সেটাই স্বাভাবিক।” তবে অতীতে পাক তারকা শাহিদ আফ্রিদি ও ভারতীয় ব্যাটসম্যান গৌতম গম্ভীর যেভাবে একে অপরের সঙ্গে মাঠে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাইভোল্টেজ ফাইনালে অবশ্য তেমন কিছুই হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.