ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৮৩ সালে কপিল দেব এবং ২০১১-য় মহেন্দ্র সিং ধোনির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাঝে একজন ভারতীয় অধিনায়কই দেশকে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তীরে এসে ডুবেছিল তরি। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে দ্বিতীয়বার বিশ্বজয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। সেই ঘটনার পর ১৫টা বছর কেটে গিয়েছে। আর এতকাল পর সৌরভ নিজের মনের কথা জানালেন। বললেন, নিজের দলে কোন ক্রিকেটার থাকলে তিনি দারুণ খুশি হতেন।
চলতি মাসেই প্রকাশিত হতে চলেছে প্রিন্স অফ ক্যালকাটার আত্মজীবনী ‘আ সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ’। আর সেই বইয়েই নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের এমন কিছু খুঁটিনাটি জানিয়েছেন সৌরভ, যা তাঁর অতি বড় ভক্তও আগে জানতেন না। সেখানেই উঠে এসেছে ২০০৩ বিশ্বকাপের কথা। সে দলে শচীন তেণ্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, বীরেন্দ্র শেহবাগের মতো পোড়খাওয়া ক্রিকেটাররা ছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পাহাড় প্রমাণ ৩৫৯ রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছিল সৌরভের টিম ইন্ডিয়া। পনেরো বছর পর দাদার গলায় আক্ষেপের সুর। তাঁর মনে হয়েছে, একজন ক্রিকেটার থাকলে হয়তো সেদিন ম্যাচের ছবিটা বদলে যেতে পারত। বিশ্বজয়ের ২০ বছরের খরা কাটতে পারত। কিন্তু তাঁকে তখন পাননি সৌরভ। কে সেই ক্রিকেটার? না, বিরাট কোহলি নন। ক্যাপ্টেন কুলকে নিজের দলে মিস করেছেন দাদা।
সৌরভ বলছেন, “চূড়ান্ত চাপের মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে খুব কম ক্রিকেটারই উন্নতি করতে পারে। আর ভারতীয় দলকে দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করার পর ধোনিই সেই ব্যক্তি বলে আমার মনে হয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করে চলেছে ও। তাই এখন মনে হয়, ২০০৩-এ বিশ্বকাপের দলে থাকলে কী ভালই না হত! কিন্তু সেই সময়ও ধোনি নাকি টিকিট কালেক্টরের চাকরিই করত। তবে আজ ও যে শিখর ছুঁয়েছে তাতে দারুণ গর্ব হয়।”
টি-টোয়েন্টিতে মাহির বর্তমান ফর্ম নিয়ে সৌরভ যতই প্রশ্ন তুলুন, ক্যাপ্টেন ও ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি যে এ দেশের অন্যতম সেরা, তা কখনওই অস্বীকার করেননি সৌরভ। আর এবার ঝাড়খণ্ডের রাজপুত্রর প্রশংসা করে নিজের মনের কথাটাও জানিয়ে দিলেন আত্মজীবনীতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.