সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঁধে নয়, এবার স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে বাইকে চেপে ১২ কিমি পথ পাড়ি দিল হায়্দরাবাদের এক গৃহিণী৷ যদিও অভিযোগ, স্বামীকে খুন করে তাঁর দেহ নিয়ে যাচ্ছিল ওই মহিলা৷ কিন্তু খুন করে তারপর বাইক চালিয়ে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার এমন ঘটনায় বিস্মিত হায়দরাবাদ পুলিশ৷
প্রভাল্লিকা মেন্ডেম নামের ওই বছর পঁচিশের মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সো তার স্বামীর মাথায় এবং যৌনাঙ্গে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করে৷ ঘটনার সময় সঙ্গে ছিল তার ১৬ বছরের ভাইপো৷ রাত ১১.৩০টা নাগাদ খুন করার পর প্রতিবেশীর থেকে বাইক ধার করে তারা দেহ নিয়ে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে৷
রাস্তায় রাতে পাহারা দিচ্ছিলেন দুই কনস্টেবল নাগেশ্বর রাও ও মহেন্দর৷ বাইকে তিনজন আরোহী দেখে তাঁরা বাইকটিকে থামার নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করেই চলে যেতে উদ্যত হয় বাইক-আরোহীরা৷ কিন্তু পুলিশ লক্ষ্য করে, মাঝের আরোহী পিছনের বাচ্চা ছেলেটির ঘাড়ে মাথা রেখেছে ও বাইকের নিচে তাঁর পা রাস্তায় ঠেকে রয়েছে৷
এমনটা সচরাচর হওয়া সম্ভব নয়। তাই সন্দেহের বশেই ২ কিমি ধাওয়া করে শেষে বাইকটির নাগাল পায় পুলিশ৷
তারপর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে প্রথমে ওই মহিলা জানান, তাঁর স্বামী পুল্লায়াহ মেন্ডেমকে রাস্তার পাশে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে৷ বাড়ি থেকে মদ খেতে বেরিয়েছিলেন ভদ্রলোক আর তারপরেই এমন পরিণতি! কিন্তু মহিলার উপর সন্দেহ কাটে না পুলিশের৷ তাই জিজ্ঞাসাবাদ চলতেই থাকে!
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথমে অস্বীকার করলেও জেরার মুখে ওই মহিলা পরে স্বীকার করে, সেই স্বামীকে হত্যা করেছে৷
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে যে ১৬ বছরের ভাইপোর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরেই ওই মহিলাকে নালগোন্ডার একটি গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়৷ তারপর সম্প্রতি সে স্বামীর সঙ্গে হায়দরাবাদে এসেছিল৷ যদিও পুলিশের দাবি, আপাতত তদন্তের কাজ শেষ হয়নি, তাই সম্পূর্ণ ঘটনা এখনই বোঝা সম্ভব নয়। শুধু প্রশ্ন উঠছে, ভাইপোর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কই কি খুনের কারণ?