Advertisement
Advertisement

দম্পতির রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য টিটাগড়ে

আট বছরের শিশু প্রথম দেখে মা-বাবার নিথর দেহ৷ কোনও অশান্তি ছিল না, দাবি পরিবারের৷

Couple mysterious death in Titagarh
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 17, 2016 10:10 am
  • Updated:October 17, 2016 10:10 am

নিজস্ব সংবাদদাতা, বারাকপুর: সাত সকালে বাচ্চার চিৎকারে ঘুমে ভাঙে প্রতিবেশীদের৷ ছুটে গিয়ে ঘরের জানলা দিয়ে তাঁরা দেখতে পান বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে স্ত্রীর দেহ৷ মেঝেতে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়ে স্বামী৷ রবিবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর এই রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় থানার মোহনপুর পঞ্চায়েত এলাকার জাফরপুর বাজারে৷ মৃত দম্পতির নাম সঞ্জয় পাল (৪০) ও সীমা পাল (৩২)৷

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সঞ্জয়বাবু কলকাতার বউবাজারে সোনার কারিগরের কাজ করতেন৷ সেখানে তাঁর দাদা সুব্রতবাবুও কাজ করেন৷ সঞ্জয়বাবু ও সুব্রতবাবু তাঁদের পরিবার নিয়ে একই বাড়িতে থাকতেন৷ লক্ষ্মীপুজোর দিন বাড়িতে পুজো হয় তাঁদের৷ প্রতিবেশীদের থেকে জানা যায়, সেদিন সঞ্জয়বাবু ও তাঁর স্ত্রী সীমাদেবী একসঙ্গে এলাকার মানুষদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করেন৷ মৃতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সেদিন রাতে স্বামী-স্ত্রী এক ঘরে ঘুমিয়েছিলেন৷ পাশের ঘরে ছিল তাঁদের আট বছরের ছেলে সায়ন৷ স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে সে৷

Advertisement

সঞ্জয়বাবুর বাবা সুমন্ত পালও একই বাড়িতে থাকেন৷ তিনি জানান, “ঘটনার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফুল তুলতে যাওয়ার সময় নাতির চিৎকার শুনতে পাই৷ বাবা-মা দরজা না খোলায় জোরে চিৎকার করতে থাকে সে৷” সায়নের চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে জানলা দিয়ে দেখতে পান বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে সীমাদেবীর দেহ৷ বিছানায় চাপ-চাপ রক্তের দাগ৷ দেহটি নীল হয়ে গিয়েছে৷ ঘরের অন্যদিকে চোখ ফেরাতেই দেখা যায় সঞ্জয়বাবুর দেহ মাটিতে পড়ে৷ গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া৷ ঘরের ফ্যানেও কিছুটা দড়ি ঝুলতে দেখে বোঝা যায়, ফ্যানের থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দড়ি ছিড়ে মাটিতে পড়ে যায় সঞ্জয়বাবুর দেহ৷

Advertisement

টিটাগড় থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন সঞ্জয়৷ তবে মৃতের পরিবারের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনওরকম অশান্তি ছিল না৷  তাদের আরও দাবি, আগামী ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার তাঁদের ছেলে সায়নের জন্মদিন৷ আত্মীয়পরিজন ও প্রতিবেশীদের নিমন্ত্রণও করেছিলেন তাঁরা৷ তবে হঠাৎ কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়েই রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ