Advertisement
Advertisement

Breaking News

পড়শি রাজ্যের ঘূর্ণাবর্ত বাংলাকে ভোগাবে রবিবার পর্যন্ত

উইকেন্ডে বৃষ্টিতে ভিজতে তৈরি থাকুন!

Delhi, Mumbai, Kolkata and Chennai to enjoy rainy weekend
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 16, 2016 10:59 am
  • Updated:July 16, 2016 11:00 am

স্টাফ রিপোর্টার: মৌসুমি বায়ু ঢুকেছে অনেকদিন৷ কিন্তু তেমনভাবে বোঝা যায়নি৷ তবে শুক্রবার সকাল থেকে টানা ভারী বৃষ্টির জেরে কলকাতা তো বটেই, গোটা দক্ষিণবঙ্গের বেহাল পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিল ঘূর্ণাবর্তর বৃষ্টি কমতে যথেষ্ট সময় নেবে৷ আশঙ্কাকে সত্যি করে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে রবিবারের আগে বৃষ্টি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ উল্টে আরও ব্যাপক বৃষ্টি হবে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়৷ দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি আজ শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিশেষত, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে৷ আবহাওয়া দফতরের এমন সতর্কবার্তা পেয়ে উত্তরবঙ্গ জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সেচ দফতর৷ বিশেষত, তিস্তা, রায়ডাক অববাহিকায় বাঁধগুলির অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, ঝাড়খণ্ডে গভীর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে৷ সেই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে এদিন দুপুরের পর থেকে এগিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে৷ ফলে ঝাড়খণ্ড, বিহার-সহ গোটা গাঙ্গেয় সমভূমিতে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে৷ আগামী রবিবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি চলবে বলে আবহাওয়া দফতরের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন৷ হাওড়ার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ শ্যামল মিত্র জানান, ছ’টি পুরনো পাম্পিং স্টেশনকে আরও সক্রিয় করে শহরের জমা জল অপসারণ করার জন্য৷ মধ্য হাওড়ার পঞ্চাননতলায় নতুন একটি পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়েছে৷ সেটিও দ্রুত চালু হবে৷ মূলত, উত্তর ও মধ্য হাওড়ার জমা জল অপসারণ করতেই এই নতুন পাম্পিং স্টেশন কাজ করবে৷ জমা জলের দুর্ভোগ থেকে হাওড়াবাসীকে স্বস্তি দিতে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে৷ পুর বিপর্যয় মোকাবিলার দলের সব ছুটি বর্ষার জন্য বাতিল করা হয়েছে বলে মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন৷

Advertisement

শুক্রবার বেলা যত গড়িয়েছে বৃষ্টির বেগ ততই বেড়েছে৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, দুপুর বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে মহানগর ও দুই ২৪ পরনায়৷ পুরতথ্য বলছে সব চেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে বেলগাছিয়া এলাকায়৷ শহরের ওই এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৯২ মিলিমিটার৷ এ ছাড়াও উল্টোডাঙায় ৭২ মিলিমিটার ও ঠনঠনিয়ায় ৫০.৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে৷ আর এমন টানা বৃষ্টির জেরে জেরে মহানগরের বেশকিছু রাস্তায় জল জমে যায়৷ নিচু এলাকাগুলিতে পাম্প চালিয়ে দ্রুত রাস্তা থেকে জল সরানোর কাজ শুরু করে পুরসভার নিকাশি বিভাগ৷ কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক থেকে জানানো হয়েছে, পার্ক সার্কাস কানেক্টর, আমহার্স্ট স্ট্রিট, মানিকতলা ও বেলগাছিয়া আন্ডারপাসে বা দক্ষিণের কসবায় জল জমলেও বিকেলের পর জল সরে যায়৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ