Advertisement
Advertisement

অত্যাচারের প্রতিবাদে মৃত গরু সরাতে নারাজ দলিতরা

গুজরাটের উনায় দলিত নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদে নতুন অবস্থানে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ৷

Gujarat's Dalits Strike Back, denies to Remove Dead Cows
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 30, 2016 3:46 pm
  • Updated:July 30, 2016 3:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের উনায় দলিত নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদে নতুন অবস্থানে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ৷ মৃত গরু সরানো ও চামড়া ছাড়ানোর কাজ করতে নারাজ হলেন তাঁরা৷

বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে চলেছেন দলিত চর্মকার সম্প্রদায়ের মানুষরা৷ কিন্তু সেই কাজ করার অপরাধেই তথাকথিত গো–রক্ষকদের হাতে যেভাবে নিগৃহীত হয়েছেন চার দলিত যুবক, তাতে শোরগোল পড়েছে দেশ জুড়ে৷ খোদ প্রধানমন্ত্রী ঘটনার নিন্দা করেছেন, সংসদ উত্তাল হয়েছে বিরোধিতায়৷ বিভিন্ন দলের নেতারা এসে দেখা করে গিয়েছেন দলিতদের সঙ্গে৷ কিন্তু তাতে অবস্থা বদলায়নি৷ বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলা যায়৷ কিছুদিন আগেই মৃত গরু সরাতে নারাজ হওয়ায় গান্ধীনগরের বাসিন্দা জনৈক দশরথভাইকে মারধর করা হয়৷ মূলত তিনিই এই প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছেন৷ প্রতিবাদে এবার দলিত সম্প্রদায়ই মৃত গরু সরানো ও চামড়া ছাড়ানোর কাজ থেকে বিরত হয়েছেন৷ গান্ধীনগর, সুরেন্দ্রনগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে তাঁদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি৷

Advertisement

দেশের চর্মশিল্পের একেবারে তৃণমূল স্তরে কাজ করেন এই চর্মকার সম্প্রদায়৷ কিন্তু চামড়ার সরবরাহের কাজটি তাঁদের হাতেই৷ এছাড়া পেশাগত কারণে তাঁরা যে কাজটি করে থাকেন, তার জেরেই পরিবেশ রক্ষার কাজটিও হয়৷ কিন্তু দলিতদের এই প্রতিবাদে পরিবেশের উপর যে সাঙ্ঘাতিক প্রভাব পড়বে সে কথা ভেবেই উদ্বেগে পরিবেশবিদরা৷ দলিতদের অভিযোগ, তাঁদের উপর অত্যাচার চালানোর সময় এ কথা তো মাথায় রাখা হয়নি৷ উচ্চবর্ণের মানুষরা তাঁদের উপর যখন তখন আক্রমণ করে, অথচ পুলিশ দেখেও দেখে না, এমনটাই অভিযোগ তাঁদের৷ আর এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আর বিছিন্নভাবে নয় সংগঠিতভাবে পথে নেমেছেন দলিতরা৷ এমনকী কাজ বন্ধের জন্য যদি উপবাসও করতে হয়, তাও মেনে নিতে রাজি তাঁরা৷ তবু মৃত গরু সরানোর কাজ করতে নারাজ৷ ফলত বিভিন্ন জায়গায় জমছে মৃত প্রাণীর লাশ, কিন্তু লোক মিলছে না সরানোর৷

Advertisement

স্থানীয় পুরসভার তরফে বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়ে এসে বা মৃতদেহ পুড়িয়ে কাজ চালানো হচ্ছে৷ কিন্তু এ পরিস্থিতি বেশিদিন চললে যে নাগরিক জীবন মারাত্মক অসুবিধায় পড়বে তা সহজেই অনুমানযোগ্য৷ শান্তিপূর্ণ এই প্রতিবাদে তাই একরকম বিপদই দেখছেন প্রসাসনের শীর্ষকর্তারা৷ যদিও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া যাবে বলেই বিশ্বাস প্রশাসনের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ