সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবমীর রাতে ঠাকুর দেখতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, যাওয়া আর হয়ে উঠল না। শ্বশুরবাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল বছর তেইশের গৃহবধূর মৃতদেহ। হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে।
মাত্র ছয় মাস আগে উলুবেড়িয়ার কুশবেড়িয়ার বাসিন্দা রাণা মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় গড়িয়ার মিতা দাসের। এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ল্যাব টেকনিশিয়ানের কাজ করত রাণা। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মদ্যপ অবস্থায় মিতাকে মারধর করত সে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত সোমবার অর্থাৎ নবমীর রাতে ঠাকুর দেখতে যেতে চেয়েছিলেন মিতা। ঠিক ছিল, রাণা অফিস থেকে এসে নিয়ে যাবে তাঁকে। সেই মতো অপেক্ষাও করছিলেন। কিন্তু, রাত হয়ে গেলেও স্বামী বাড়ি না ফেরায় বারবার ফোন করছিলেন তাঁকে। কোনও সাড়া মেলেনি। রাত দেড়টা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় ফেরে রাণা।
অভিযোগ, মিতাকে প্রচুর মারধর করে সে। তারপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। সেই সময় বাড়িতেই ছিল রাণার বাবা দ্বিজেন্দ্রনাথ মণ্ডল, মা কল্পনা মণ্ডল ও ভাই রাহুল মণ্ডল। ঘটনার পর রাণা যেখানে কাজ করে, সেই হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয় মিতাকে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন মিতার কাকা খোকন দাস। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে রাণা মণ্ডল ও তার বাবা দ্বিজেন্দ্রনাথ মণ্ডলকে। অভিযুক্তর মা কল্পনা মণ্ডল ও ভাই রাহুল পলাতক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.