Advertisement
Advertisement

২০১১-তেও হয়েছিল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, তিন পাক সেনার মাথা কেটে আনেন কমান্ডোরা

তিন পাক সেনা, সুবেদার পারভেজ, হাবিলদার আফতাব ও নায়েক সুবেদার ইমরানের কাটা মাথা নিয়ে ফিরে আসেন ভারতীয় জওয়ানরা৷

Indian Army killed 8 Pakistanis in 2011 surgical strike
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 10, 2016 1:19 pm
  • Updated:October 10, 2016 1:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১১ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের জমানাতেও হয়েছিল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক৷ শুধু মায়ানমারের গভীর জঙ্গলে নয়, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতরে ঢুকে কয়েক ঘণ্টা ধরে সফল অপারেশন চালিয়েছিলেন ভারতীয় সেনার প্যারা কমান্ডোরা৷ সেবার সংবাদমাধ্যমে কোনও হইচই হয়নি৷ কাকপক্ষীও টের পায়নি৷ সরকারও কিছুই জানায়নি৷ কিন্তু সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল৷ মারা পড়েছিল কয়েকজন জঙ্গি৷ শুধু তাই নয়, মারা গিয়েছিল দু’পক্ষের ১৩ জন সেনা৷ গেরিলা হামলা চালিয়ে দু’জন ভারতীয় সেনা জওয়ানের মাথা কেটে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান৷ জবাবে তিন জন পাক সেনার মাথা কেটে আনেন ভারতীয় জওয়ানরা৷ এই খবর ছেপেছে দ্য হিন্দু পত্রিকা৷ বহুল প্রচারিত এই সংবাদপত্রের এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য-সহ একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷

সর্বভারতীয় ইংরেজি ‘দ্য হিন্দু’ স্পষ্ট জানিয়েছে, ২০১১ সালের জুলাই মাসের পর পর কয়েক সপ্তাহ জুড়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে হামলা-পালটা হামলা চলেছিল৷ এ ব্যাপারে সরকারি নথি, ভিডিও ও ছবি এবং অডিও রেকর্ডিং-সহ অনেক সাক্ষ্যপ্রমাণ তাদের কাছে আছে৷ পত্রিকাটি জানিয়েছে, কুপওয়ারায় সেনাবাহিনীর ২৮ নম্বর ডিভিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (এখন অবসরপ্রাপ্ত) এস কে চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে এই অভিযানের পরিকল্পনা কার্যকর হয়েছিল৷ এই সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন জিঞ্জার’৷ মেজর জেনারেল চক্রবর্তী এই অভিযানের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন৷ তবে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকার করেছেন৷ হিন্দুর প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, পাকিস্তানই প্রথম হামলা চালায়৷ ২০১১ সালের ৩০ জুলাই কুপওয়ারায় গুগালধার রিজে ভারতের প্রত্যন্ত সেনা চৌকিতে বিকেলে হামলা করে পাক সেনার বর্ডার অ্যাকশন টিম৷ অতর্কিত হামলায় নিহত হন রাজপুতানা ও কুমায়ুন রেজিমেন্টের কয়েকজন জওয়ান৷ ২০ নম্বর কুমায়ুন রেজিমেন্টের দুই জওয়ান জয়পাল সিং অধিকারী ও ল্যান্সনায়েক দেবিন্দর সিংয়ের মাথা কেটে নিয়ে যায় পাক সেনারা৷ এর বদলা নিয়ে অপারেশন জিঞ্জারের নকশা তৈরি কবেন. ভারতীয় কমান্ডাররা৷ সাতবার রেকি করে নিখুঁত প্রস্তুতি নেওয়া হয়৷ ঠিক হয়, কোন কোন পাক সেনা চৌকিতে হামলা চালানো হবে৷ ঘড়ি ধরে কতক্ষণ অপারেশন চলবে সবই ছকে ফেলা হয়৷ যত বেশি সম্ভব পাক সেনাকে খতম করাই ছিল লক্ষ্য৷ আক্রমণ, কভার ফায়ার, অ্যামবুশ ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আলাদা আলাদা দল গঠন করা হয়৷ গভীর রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জঙ্গলে অপেক্ষা করেন ভারতীয় কমান্ডোরা৷ সংকেত মিলতেই শুরু হয় অভিযান৷ ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে আট পাক সেনাকে খতম করা হয়৷ বেশ কয়েকজন পাক সেনা গুরুতর জখম হয়৷ তিন পাক সেনা, সুবেদার পারভেজ, হাবিলদার আফতাব ও নায়েক সুবেদার ইমরানের কাটা মাথা, তিনটি রাইফেল ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফিরে আসেন ভারতীয় জওয়ানরা৷ প্রমাণ হিসাবে আনা হয় নিহত পাক সেনাদের বুকে লাগানো ব্যাজ, মেডেল ও স্টার৷ এভাবেই বদলা নেন ভারতীয় জওয়ানরা৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ