বাবুল হক, মালদহ: এই পাগলি কালী একটা সময় আগ্রাসী গঙ্গার ভাঙন রুখে দিয়েছিলেন। আর সেই দুর্যোগ রুখতেই ফি বছর কালীপুজোর পরের দিন সকালে পাগলি কালী মায়ের আরাধনায় মাতেন ভাঙন কবলিত মালদহের ইংলিশবাজারের খাসকোল ও কালিয়াচকের বাঙ্গীটোলা এলাকার বাসিন্দারা। প্রথা মেনে প্রত্যেক বছরই পাগলি কালীর পুজো হয় এখানে। গঙ্গা ও ভাগীরথী নদীর সংযোগস্থলে নবনির্মিত স্লুইস গেটের পাশে আমবাগানে রয়েছে পাগলি কালীর মন্দির।
কালীপুজোর পরের দিন পাগলি কালীর পুজো উপলক্ষে মন্দিরের সামনে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। মাতৃআরাধনার পাশাপাশি পাঁঠাবলির রেওয়াজ আজও অব্যাহত। এখানে পাগলি কালীর মন্দির থাকলেও মায়ের কোনও মূর্তি নেই। এটাই বিশেষত্ব প্রায় তিনশো’ বছরের প্রাচীন এই পুজোর।
মালদহের নদীভাঙন কবলিত এলাকা হিসাবে পঞ্চানন্দপুরের নাম একসময় বাংলাজুড়েই ছড়িয়ে পড়ে। সেই পঞ্চানন্দপুরের কয়েক কিলোমিটার দূরে মহাদেবপুর ও খাসকোল। এই দুই গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভাগীরথী। যার উৎসমুখ গঙ্গানদীর এখানেই।
[সাবেকিয়ানা ও থিমের মেলবন্ধনে এবার জমজমাট গিরিশ পার্কের এই কালীপুজো]
স্থানীয়দের বিশ্বাস, পাগলি মায়ের পুজো শুরুর পর থেকেই আগ্রাসী গঙ্গার ভাঙন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এটাও মায়ের আশীর্বাদ। জনশ্রুতি, প্রায় ৩০০ বছর আগে এখানে ইমাম নামের এক রাজা ছিলেন। তার রাজত্বে গোমস্তার কাজ করতেন মিশ্র পরিবারের এক সদস্য। সেই পরিবারেরই এক সদস্য স্বপ্নাদেশ পেয়ে ভাগীরথী নদী থেকে ভেসে যাওয়া ঘট এনে পুজো শুরু করেছিলেন। পুজো প্রস্তুতি তুঙ্গে।
[ধস-গ্যাস-আগুনে ত্রাতা জামুড়িয়ার ‘উইঢিবির কালী’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.