Advertisement
Advertisement

নারদ নয়, শহরে ম্যাথুর হুল ভুয়া সংস্থার মাধ্যমেই

তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে স্টিং অপারেশন চালাতে ম্যাথু দু'বার কলকাতায় এসেছিলেন৷ উঠেছিলেন গ্র্যান্ড হোটেলে৷ তবে হোটেলে নিজের পরিচয় গোপন রেখে নিজেকে সন্তোষ শঙ্করণ নামে পরিচয় দিয়েছিলেন৷

mathew had an fake company for sting operation
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 3, 2016 1:51 pm
  • Updated:July 3, 2016 1:51 pm

স্টাফ রিপোর্টার: নারদ স্টিং কাণ্ডের তদন্তে নয়া তথ্য পেলেন লালবাজারের তদন্তকারী গোয়েন্দারা৷

নারদ নিউজ নয়, তার বদলে কলকাতায় স্টিং অপারেশন চালানোর জন্য ভুয়া সংস্থা খুলেছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল৷ নাম দিয়েছিলেন ‘ইনটেক্স কনসালট্যান্সি সলিউশন’৷ এর জন্য চেন্নাইয়ে সদর দফতর খুলে অফিসের টেলিফোন লাইনও নিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু স্টিং অপারেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পরই সেই ভুয়া সংস্থা বন্ধ করে দেন স্যামুয়েল৷ তদন্তে এই তথ্যই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা৷ এই তথ্য অবশ্য স্বীকার করেছেন নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল নিজেও৷ তিনি জানিয়েছেন, “নারদ নিউজ সকলের পরিচিত৷ এই নামে স্টিং অপারেশন চালানো যেত না৷ তাই বাধ্য হয়ে অন্য একটি সংস্থা খুলে স্টিং অপারেশন চালাই৷”

Advertisement

তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে স্টিং অপারেশন চালাতে ম্যাথু দু’বার কলকাতায় এসেছিলেন৷ উঠেছিলেন গ্র্যান্ড হোটেলে৷ তবে হোটেলে নিজের পরিচয় গোপন রেখে নিজেকে সন্তোষ শঙ্করণ নামে পরিচয় দিয়েছিলেন৷ এজন্য ভুয়া ভোটার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও তৈরি করিয়েছিলেন স্যামুয়েল৷ সেখানে ম্যাথুর নাম ছিল সন্তোষ শঙ্করণ৷ লালবাজারের এক গোয়েন্দা কর্তা জানিয়েছেন, এভাবে কেউ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ভোটার কার্ড বা মোটর ভেহিকেলসের দেওয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স জাল করতে পারেন না৷ সেই কারণে নারদ-কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন লালবাজারের তদন্তকারী দল ‘সিট’-এর গোয়েন্দারা৷

Advertisement

জাল ভোটার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য স্বীকার করে নিয়েছেন নারদ নিউজের সিইও ম্যাথু৷ তিনি জানিয়েছেন, তহেলকা ডট কমের পর তাঁর নাম ও নারদ নিউজ সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল৷ তাই ম্যাথু স্যামুয়েলের নাম নিয়ে নারদ স্টিং অপারেশন চালানো যেত না৷ সেই কারণেই নাম পাল্টে সন্তোষ শঙ্করণ রাখা হয়৷ জাল ভোটার কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়েই গ্র্যান্ড-সহ আরও একটি বিলাসবহুল হোটেলের ঘর বুক করা হয়েছিল৷ ২০১৪ সালের পর স্টিং অপারেশন শেষ হওয়ার মুখে আরও একবার কলকাতায় এসেছিলেন তিনি৷ সেক্ষেত্রেও জাল ভোটার কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়ে নিজেকে সন্তোষ শঙ্করণ পরিচয় দিয়েছিলেন৷ ওই সমস্ত হোটেল এবং ট্রাভেলিং এজেন্সির সূত্র ধরে ম্যাথু স্যামুয়েলের জাল ভোটার কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা৷

‘ইনটেক্স কনসালট্যান্সি সলিউশন’ নামে যে ভুয়া সংস্থা তিনি খুলেছিলেন, তার রিসেপশনিস্ট হিসাবে একজন মহিলাকেও চাকরিতে নিয়েছিলেন৷ কলকাতায় এসে তিনি বিভিন্ন শিল্পপতির কনসালট্যাণ্ট হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছিলেন৷ ওই শিল্পপতিরা রাজ্যে শিল্প গড়তে চান এবং এই বিষয়ে সাহায্য চাওয়ার নাম করেই নারদ নিউজের স্টিং অপারেশন চালান তিনি৷ অথচ শিল্পপতি বা শিল্পকর্তাদের সঙ্গেই দেখা করেননি!

লালবাজারের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, স্টিং তদন্তের যাবতীয় তথ্য এসেছে তাঁদের হাতে৷ এরপর সেই তথ্য নিয়ে স্যামুয়েলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার প্রয়োজন৷ এজন্য তদন্তের স্বার্থে ম্যাথুকে বারবার ডেকে পাঠানো হলেও তাঁর পক্ষ থেকে কোনও উত্তর আসেনি৷ এতে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটছে৷ দ্বিতীয়বার নোটিস পাঠিয়ে ডাকা সত্ত্বেও এখনও আসেননি ম্যাথু৷ সেক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে লালবাজার৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ