Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mohammad Masiuddin

কে এই ‘বাংলার বাঘ-২’, তদন্তে গোয়েন্দারা

গোয়েন্দারা জেনেছেন, এই ব্যক্তি বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় থাকে৷

Mohammad Masiuddin alias Musa links with the terror group ISIS.
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 8, 2016 4:36 pm
  • Updated:April 1, 2019 11:53 am

স্টাফ রিপোর্টার: বীরভূমের পথে ধৃত মুসাকে জেরা করে উঠে এসেছে ‘বাংলার বাঘ-২’-এর নাম৷ এই ‘বাংলার বাঘ-২’ আসলে কে? এই রহস্যের খোঁজ এখন চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা৷ গতকালই এনআইএ-র কাছে এই তথ্য জানায় মুসা৷ গোয়েন্দারা জেনেছেন, এই ব্যক্তি বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় থাকে৷ এ ব্যাপারে বাংলাদেশের গোয়েন্দা শাখা ‘র‍্যাব’-এর সাহায্য চাওয়া হয়েছে৷ এটা অনেকটাই স্পষ্ট, ‘বাংলার বাঘ-২’ একটি সাংকেতিক নাম এবং কোনও শীর্ষস্তরের জঙ্গি নেতার নাম৷

গোয়েন্দারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, বহুদিন আগে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে জেএমবি ‘বাঙালি’-এর নাম পাওয়া যায়৷ খাগড়াগড়-কাণ্ডের পর ধৃতদের জেরা করে তার নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা৷ তার জঙ্গি কার্যকলাপে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়ও স্পষ্ট হয়৷ ওই ব্যক্তিও সীমান্ত এলাকায় থাকত৷ এখন প্রশ্ন, ‘বাঙালি ভাই’-ই কি ‘বাংলার বাঘ-২’?

Advertisement

গোয়েন্দারা নিশ্চিত, ‘বাংলার বাঘ-২’-এর আসল রূপ সামনে এলেই অনেক রহস্যের সমাধান হতে পারে৷ ধৃত মসিউদ্দিন ওরফে মুসা, সাদ্দাম হোসেন ওরফে কালো ও শেখ আববাসউদ্দিন ওরফে আমিনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে৷ রাজ্যে হামলা চালাতেই তামিলনাড়ু থেকে বীরভূমের লাভপুরে আসছিল মুসা৷ লাভপুরেই খাগড়াগড় কাণ্ডের পলাতক জেএমবি জঙ্গি কদর গাজির সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল মুসার৷ ‘জামাত-উল-মুজাহিদিন অফ বাংলাদেশ’-এর শীর্ষ নেতা সুলেমান ও বাংলাদেশেরই ‘আনসার-উল-তৌহিদ’-এর জঙ্গি নেতা মৌলানা ইউসুফের সঙ্গে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যোগাযোগ রাখত মুসা৷

Advertisement

পাশাপাশি সিরিয়ার আইএস জঙ্গি নেতা সফি আরমারের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার৷ সুইস কোম্পানির মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই যোগাযোগ রাখত৷ সেই অ্যাপ থেকে কথোপকথন উদ্ধার করা কঠিন৷ তবে তাদের নির্দেশ মতোই এ রাজ্যে জঙ্গি নেটওয়ার্ক বাড়াতে চেয়েছিল সে৷ গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, দিন দশেকের মধ্যেই বীরভূমের একটি মন্দিরের বৃদ্ধ প্রধান পুরোহিত এবং তাঁর স্ত্রীকে গলা কেটে খুনের ছক কষেছিল মুসারা৷ সেই কারণেই আপ বিশ্বভারতী প্যাসেঞ্জার ধরার আগে ধর্মতলায় এসে একটি ১৩ ইঞ্চির ভোজালি কিনেছিল মুসা৷ মেটিয়াবুরুজে গিয়ে আরও এক আইএস সদস্যের সঙ্গে সে দেখা করে আসে৷ কদর জেএমবির পশ্চিমবঙ্গ মডিউলের দায়িত্বপ্রাপ্ত৷ কদরের সঙ্গে যোগ ছিল মুসার৷

মুসা গত তিন বছরে লাভপুরে আসা-যাওয়া বাড়িয়েছিল৷ লাভপুর এলেই নিজের বাড়িতে যেত তা নয়৷ সে লাভপুরে এসে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগও করত৷ লাভপুর এলে পাঁচ ওয়াক্ত মসজিদে নমাজও পড়তে দেখা গিয়েছে তাকে৷ যোগাযোগ রাখত মোবাইল ও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে৷ কিন্তু খাগড়াগড়-কাণ্ড নিয়ে আলোচনা স্তিমিত হলে গত এক বছর ধরে ফের লাভপুরের রেজিস্ট্রিপাড়ায় যাতায়াত শুরু হয় মুসার৷ কদর গাজি লাভপুরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি গোপন ডেরায় থাকত৷ কিন্তু টানা থাকত না সে৷ খুব বেশি হলে দু-তিন দিন৷ সেই সময়ে কদরের ডেরায় মুসার যাতায়াত ছিল বলেও মনে করা হচ্ছে৷ কদর কবে লাভপুরে থাকছে তা জেনেই চেন্নাই থেকে লাভপুরে আসত মুসা৷ যেমনটি এবার এসেছিল সে৷ রাস্তাতেই পাকড়াও হয়ে যায়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ