Advertisement
Advertisement

জঙ্গি টার্গেটে এবার আইএএস-আইপিএসরা

রবিবার টেলিগ্রাম নামে একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সংগঠনের মাথা মৌলানা আসিম উমর একটি অডিও টেপ পোস্ট করে জানিয়েছে, আল কায়দার সমর্থক ও তাদের ওয়াহাবি দর্শনের প্রতি সহানুভূতিশীল ভারতীয়, বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি মুসলিম যুবকদের প্রতি আল কায়দার আবেদন, আপনারা ‘লোন উলফ অ্যাটাক’ করুন৷

Next target IAS and IPS officers
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 5, 2016 1:54 pm
  • Updated:December 1, 2020 3:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে প্রশাসনিক দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী চাকরিজীবী হলেন আইএএস ও আইপিএস অফিসাররা৷ তাঁদের হাত দিয়েই সরকারি ও নাগরিক পরিষেবামূলক সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়৷ নাগরিক ও সরকারের মধ্যে তাঁরা হলেন সংযোগরক্ষাকারী সেতুর মতো৷ সামাজিক নিরাপত্তা ও পুলিশ-প্রশাসনে তাঁরা হলেন শেষ কথা৷ তাই তাঁদের উপর হামলা চালিয়ে, তাঁদের হত্যা করে অকেজো করে দিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে৷ দরকারে তাঁদের পণবন্দি বানিয়ে সরকারের কাছ থেকে আদায় করে নিতে হবে নিজেদের দাবি-দাওয়া৷ এই নয়া ফরমুলা দিয়েছে আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকনটিনেন্ট (আকিস)৷
রবিবার টেলিগ্রাম নামে একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সংগঠনের মাথা মৌলানা আসিম উমর একটি অডিও টেপ পোস্ট করে জানিয়েছে, আল কায়দার সমর্থক ও তাদের ওয়াহাবি দর্শনের প্রতি সহানুভূতিশীল ভারতীয়, বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি মুসলিম যুবকদের প্রতি আল কায়দার আবেদন, আপনারা ‘লোন উলফ অ্যাটাক’ করুন৷ অর্থাৎ, জেহাদি হিসাবে একজন আল কায়দা সমর্থক আত্মঘাতী বা ফিদায়েঁ হামলা চালাবে৷ আল্লার নামে শপথ করে ইসলামিক সাম্রাজ্য গঠনের জন্য তারা ‘এককভাবে এবং একক প্রচেষ্টায়’ হামলা চালাবে, যেভাবে একটি ক্ষুধার্ত নেকড়ে বা হায়না তার শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ এক্ষেত্রে ভারতে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে তাদের শিকার হবেন আইএএস ও আইপিএস অফিসাররা৷ কারণ ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের শীর্ষ আমলাদের ক্ষতি করতে পারলে আল কায়দার উদ্দেশ্য সফল হবে৷ সফল হবে লোন উলফ অ্যাটাক বা ‘নেকড়ের মতো এককভাবে হামলা করার’ উদ্দেশ্য৷
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের প্রাক্তন বাসিন্দা আসিম উমরের দাবি, হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের অত্যাচার, গরু সংরক্ষণে মুসলিমদের বাধ্য করা ও গোমাংস খাওয়ায় বাধা দেওয়ার কারণে ভারতের মুসলিমরা কোণঠাসা হয়ে আছেন৷ ভারতের মুসলিমরা গো মাংস না খেয়ে কি শাকপাতা খেয়ে থাকবে? হিন্দুদের জাতীয়তাবাদী মন্ত্র বন্দেমাতরম বলতে মুসলিমদের বাধ্য করা হচ্ছে৷ তাই এখনই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার উপযুক্ত সময়৷
উমরের বক্তব্য, যাঁরা আল্লার কথা রাখার জন্য অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন, জেহাদে যোগ দিয়ে শাহদাত (শহিদ) বরণ করেছেন তাদের সহায় হয়েছেন আল্লা৷ তিনটে পানিপথের যুদ্ধে আল্লার সেনারা জিতেছিলেন৷ হিন্দু (মারাঠা), শিয়া (শেরশাহ), লোধি (নিম্ন বর্ণের সুন্নি মুসলিম)রা হেরেছিল৷ ইনশাআল্লা, এই জেহাদে এবারও আমরাই (সুন্নি ওয়াহাবি মুসলিমরা) জিতব৷
উমরের বার্তা, “নরেন্দ্র মোদি লোকটা হলেন মধ্যযুগের আবু ঝালস বা ওমর বিন হিসামের মতো৷
আবু ঝালস ছিলেন পৌত্তলিক, আল্লার বিরোধী, হজরত মহম্মদের বিরোধী এক যাযাবর আরব দস্যুদের নেতা৷ মোদিও সেরকম৷ ওকেও চরম শিক্ষা দিতে হবে৷ তাই আমি বলছি, ইতিহাস সাক্ষী আছে ভারতের মুসলিমরা যদি একজোট হয়ে ছোরা, তরবারি, বন্দুক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাহলে হিন্দুরা মুছে যাবে৷ অস্তিত্বরক্ষার জন্য এখনই ভারতের প্রায় ২৫ কোটি মুসলিমকে হিন্দুদের বিরু‌দ্ধে জেহাদ শুরু করতে হবে, না হলে হিন্দুরা একদিন সব মুসলিমকে ভারত থেকে তাড়িয়ে দেবে৷ ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়ায় যেভাবে সুন্নিরা লড়ছে সেভাবেই লড়াই করুক ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি মুসলিমরাও৷ তাই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে আইএএস ও আইপিএস অফিসারদের লক্ষ্য করে হামলা চালাক ভারতীয় মুজাহিদরা৷ তাহলেই বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হবে ভারত৷ ভারতের .ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ খুলে দিতে হবে৷”
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাসংস্থা সূত্রের খবর, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, ইসলামিক স্টেট, আল কায়দার সঙ্গে জড়িত থাকা বা যোগসাজশ রাখার অভিযোগে কর্নাটক, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে অনেকেই ধরা পড়েছেন৷ সেই সব রাজ্যের আইএএস ও আইপিএস অফিসাররাই আল কায়দার টার্গেট হতে পারেন৷ টার্গেট হতে পারেন পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মেঘালয়, পাঞ্জাবের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির আইএএস, আইপিএস অফিসাররাও৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ