Advertisement
Advertisement

Breaking News

মাছ

মাছেই মিল, নাইজেরিয়ার বিখ্যাত মৎস্য উৎসবের ছোঁয়া দুর্গাপুরের এই মণ্ডপে

পুজোর উদ্বোধনে লেজার শো বিশেষ আকর্ষণ।

Nigeria's famouse Fish Festival is the theme of Durgapur's Marconi Puja
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 23, 2019 4:26 pm
  • Updated:September 23, 2019 4:26 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়,দুর্গাপুর: বৈচিত্র্যময় বিশ্ব। উৎসবের আচারও ভিন্ন। উপলক্ষ্য কিন্তু একটাই – আনন্দে মেতে ওঠা। সে বাংলার দুর্গোৎসবই হোক কিংবা সুদূর নাইজেরিয়ার মৎস্য উৎসব। কয়েকটা দিন ভরপুর আনন্দ করে নিতে সাধারণ মানুষই উৎসবের আয়োজন করে থাকেন। তাই সংস্কৃতির তফাত থাকলেও, বাঙালির প্রিয় মাছকে ঘিরে এবার মিলেমিশে গেল বাংলার দুর্গাপুর আর নাইজেরিয়ার কেব্বি।
এবার দুর্গাপুরের মার্কনি দক্ষিণপল্লির পুজোর থিম – নাইজেরিয়ার বিখ্যাত ফিশ ফেস্টিভ্যাল। পুজোর চারটে দিন মৎস্য উৎসবের প্রতীকী নানা চিত্র ফুটিয়ে তুলতে এখন তৎপরতা তুঙ্গে।

[আরও পড়ুন: স্বয়ং অন্নপূর্ণা, দুর্গা নিজেই রাঁধুনি ৫০০ বছরের এই বনেদি পুজোয়]

নাইজেরিয়ার কেব্বি রাজ্যের আরগাঙ্গু অঞ্চল অত্যন্ত উর্বর। নদীর জলেই চলে চাষ। আর সেই নদীর জলেই হয় মাছ উৎসব। গোটা পুজো প্রাঙ্গণ জুড়েই এখন সেই মৎস্য উৎসবের নানা মুহূর্ত ফুটিয়ে তোলার ব্যস্ততা। মার্কনি দক্ষিণপল্লি এবার ৫৯তম দুর্গোৎসবের আয়োজন করছে। মণ্ডপে প্রবেশের মুখেই থাকছে নাইজেরিয়া চারি নদীর বিশাল ‘ফিদারফিন স্কুইয়েকার’ মাছের মডেল। উৎসব মঞ্চের আকারে তৈরি হচ্ছে
মণ্ডপ। গোটা মণ্ডপজুড়ে মৎস্য উৎসবের মোট ৫০০টির উপর মডেল থাকছে।

Advertisement

Dgp-nigeria-puja3
চমকের এখানেই শেষ নয়। মায়ের প্রতিমাতেও থাকছে ‘আরগাঙ্গু’ শহরের জনজাতির ছাপ। সেই আদলেই গড়ে উঠছেন প্রতিমা। প্লাই, বাঁশ, ফোম, থার্মোকল, বিভিন্ন গাছের ডাল, সামুদ্রিক মাছের মডেল, হোগলা-সহ অন্যান্য গাছের পাতা দিয়ে সেজে উঠছে মণ্ডপ ও মডেলগুলি।

Advertisement

Dgp-nigeria-puja2
চতুর্থীর দিন উদ্বোধনেও থাকছে অভিনবত্ব। উদ্বোধনে লেজার শো’য়ে চোখধাঁধানো আলো ও ইলেকট্রনিক্স বাজির কারিকুরি নজর টানবে বলেই দাবি করছেন উদ্যোক্তারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মণ্ডপের প্রবেশদ্বারে আলোর বাজিতে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যাবে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বড় পুজো মার্কনি দক্ষিণপল্লির পুজোর বাজেট মোট ৩০ লক্ষ।

[আরও পড়ুন: দেবীপক্ষের আগেই পুরোদমে পুজো শুরু বিষ্ণুপুরের এই রাজ পরিবারে]

দেশীয় সংস্কৃতি ছেড়ে বিদেশি সংস্কৃতিকে তুলে ধরা নিয়ে মার্কনি দক্ষিণপল্লি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন বন্দোপাধ্যায় জানান, “প্রতি বছর এখানে ভারতীয় সংস্কৃতিকেই তুলে ধরা হয়। বহু মানুষ আছেন, তাঁরা তো আর বিদেশে যেতে পারেন না। তাঁদের একটু বিদেশের অনুভূতি দেওয়ার জন্যেই সুদূর নাইজেরিয়ার একটি শহরের প্রধান উৎসবকে তুলে ধরা হয়েছে।” পুজোর চারদিনই এলাকাবাসীর জন্য থাকছে ভুরিভোজ ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবারও বিশ্ব বাংলা সেরা শারদীয় সম্মানের লড়াইয়ের প্রবল দাবিদার মার্কনি দক্ষিণপল্লি সর্বজনীন দুর্গোৎসব।

Dgp-nigeria-puja1
ছবি: উদয়ন গুহরায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ