Advertisement
Advertisement

Breaking News

ওজোনস্তরের ছিদ্রের আয়তন সংকুচিত হচ্ছে কুমেরুতে

“পৃথিবী আস্তে আস্তে সেরে উঠছে তাঁর নিজের প্রয়োজনেই৷ উপশম ধীরে হলেও কাজ করছে৷”

Ozone Hole Over The Antarctic Has Shrunk, Now It's The 'Size Of India'
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 4, 2016 11:28 am
  • Updated:July 4, 2016 11:45 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীবাসীর জন্য সুখবর নিঃসন্দেহে! ওজোনস্তরের ছিদ্রের আয়তন হ্রাস পেয়েছে৷ নিজের প্রয়োজনেই হয়তো এবার ধীরে ধীরে মানুষ সারিয়ে তুলবে পৃথিবীকে৷ দক্ষিণ মেরুতে যে ওজোনস্তরের গর্তের কারণে অতি-বেগুনি রশ্মি সরাসরি আছড়ে পড়ত ভূপৃষ্ঠে৷ যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল পৃথিবী, দিনের পর দিন৷ বাড়ছিল ক্যানসারের মতো মারণ রোগ, ওজোনস্তরের সেই গর্তের আয়তন বেশ খানিকটা সংকুচিত হয়েছে৷

পরিবেশবিদরা প্রায় দশ বছর পর এই তথ্য পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত৷ গবেষকদের মত, বেশ কিছু দূষিত পদার্থের পরিমাণ সামান্য হলেও কমেছে, সেই কারণেই এই আয়তন সংকোচন৷ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২০০০ সালের পর থেকে ‘সেপ্টেম্বর ওজোনস্তর’ প্রায় ৪০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার সংকুচিত হয়েছে৷ অর্থাত্‍ গোটা ভারতবর্ষের আয়তনের সমান এই সংকোচন৷ এই প্রসঙ্গে সায়েন্স পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাসাচুটেস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির পরিবেশ রসায়নবিদ সুসান সলোমন বলেন, ‘‘ওজোনস্তরের ছিদ্রের আয়তন হ্রাস একটি বড় সারপ্রাইজ! এটা ভাবলেই অবাক লাগছে৷’’ প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সাল নাগাদ ওজোনস্তরের ছিদ্র আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা৷ ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসেও মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল এটি৷ যদিও সলোমন ও তাঁর সহকর্মী পরিবেশবিজ্ঞানীরা নিশ্চিত ছিলেন, চিলির কালবুকো আগ্নেয়গিরির উদগীরণের ফলেই এই বিপত্তি৷ বিজ্ঞানীরা উপগ্রহের থেকে প্রাপ্ত তথ্য, ভূমিতে স্থাপিত বিশেষ যন্ত্র, ওয়েদার বেলুন ও সূক্ষাতিসূক্ষ গবেষণার মাধ্যমে যে তথ্য পেয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরে ওজোনস্তরের ছিদ্রের আয়তন হ্রাস পাচ্ছে৷ অক্টোবরে এই আয়তনের পরিমাণ সর্বোচ্চ৷ সলোমন এও বলেন, অক্টোবরে ওজোনস্তরের আয়তন নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত বিজ্ঞানীরা, তাই সেপ্টেম্বরের কথা কমই ভেবেছেন তাঁরা৷ পরিবেশের এমনই নানারকম বদল ঘটছে বলে অক্টোবরেও ওজোনস্তরের ছিদ্রের আয়তনে অন্যান্য বদল আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি৷

Advertisement

সলোমন বলেন, ১৯৮৭ সালের পর থেকেই মণ্ট্রিল প্রোটোকল চুক্তি অনুযায়ী ক্লোরো-ফ্লুরো-কার্বন অর্থাত্‍ সিএফসির ব্যবহারে সারা পৃথিবীজুড়ে নিষেধাজ্ঞা চালু হয়েছিল৷ এর ফলে ধীরে ধীরে ওজোনস্তর আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে শুরু করেছে৷ সামান্যতম হলেও সংকোচন হয়েছে ওজোনস্তরের ছিদ্রের৷ পরিবেশের ক্লোরিন তৈরি হয় সিএইসির থেকেই৷ এই রাসায়নিকগুলি সাধারণত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, রেফ্রিজারেটর, চুলের নকল রং(হেয়ার স্প্রে) ও অন্যান্য এরোসোলে পাওয়া যায়৷ সলোমন বলেন, “পৃথিবী আস্তে আস্তে সেরে উঠছে তাঁর নিজের প্রয়োজনেই৷ উপশম ধীরে হলেও কাজ করছে৷”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ