সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতকে বিপাকে ফেলতে নয়া পন্থা নিয়েছে ইসলামাবাদ। নিয়ন্ত্রণরেখায় সশস্ত্র ভারতীয় সেনার সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে দেশের অন্দরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঢুকিয়ে, ধর্মের জিগির তুলেও চেষ্টা হয়েছে ভারতকে অশান্ত করার। কিন্তু তাতেও হালে পানি না পেয়ে এবার আরও হীন, জঘন্য পন্থা অবলম্বন করছে ইসলামাবাদ। যেনতেন প্রকারে পাকিস্তানে কর্মরত ভারতীয় কূটনীতিবিদদের হেনস্তা করা হচ্ছে প্রতিদিন। কূটনৈতিক চ্যানেল মারফত প্রতিবাদ জানিয়েও লাভ হয়নি। অসভ্যতার পথ থেকে সরে আসতে নারাজ ইসলামাবাদ।
ঠিক কী হচ্ছে পাকিস্তানে?
সূত্রের খবর, ভারতীয় প্রতিনিধিদের হেনস্তা করা হচ্ছে সে দেশে। তবে প্রকাশ্যে নয়, দুষ্কৃতী লেলিয়ে। তবে এর পিছনে পুরোটাই যে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মস্তিষ্ক রয়েছে, এমনটাই বলছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। রাতদুপুরে ভারতীয় কূটনীতিবিদদের বাড়িতে কলিং বেল বাজিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। দিনভর ল্যান্ডলাইন ও মোবাইলে ফোনে নাম ভাঁড়িয়ে ফোন করছে কেউ না কেউ। কেটে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ। বারবার লিখিত অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি আজও। সেই সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিবিদরা কোথাও গেলেই আইএসআইয়ের সদস্যরা তাঁদের পিছু নিচ্ছে। আচমকাই মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে চলছে অকারণে তল্লাশি। রেয়াত করা হচ্ছে না শিশুদেরও। তাদেরও ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
যদিও পাকিস্তান এই সব যাবতীয় অভিযোগ মানতে নারাজ। পালটা তাদের নাটক, ভারতেই বরং সে দেশের কূটনীতিবিদদের হেনস্তা করা হচ্ছে। ভারতে কর্মরত পাক হাই কমিশনার সোহেল মেহমুদকে ডেকে পাঠানো হল ইসলামাবাদে। তাও আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য। যদিও ভারত এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাক মিডিয়ার একাংশের দাবি, ইসলামাবাদ হুমকি দিয়েছে, অবিলম্বে ভারত থেকে তাদের সব কূটনীতিবিদদের ফিরিয়ে আনা হবে। যদিও এটাকে ইসলামাবাদের চাল বলেই মনে করছে সাউথ ব্লক। ইসলামাবাদে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় কূটনীতিবিদ বিষ্ণু প্রকাশ। তিনি বলছেন, ‘পাকিস্তানে রাতদুপুরে বেল বাজিয়ে দুষ্কৃতীদের পালিয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়! সময়ে-অসময়ে আইএসআইয়ের সদস্যরা বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালায়। ক্যামেরায় ছবি তুলে রাখে।’ এমনকী সে দেশে কোনও ভারতীয় কূটনীতিবিদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের চিকিৎসাও ঠিকমতো হয় না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সবমিলিয়ে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে তিক্ততা এখন তুঙ্গে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.