পোল্যান্ড – ১ (লেভানডস্কি) পর্তুগাল – ১ (স্যানচেস)
পেনাল্টি শুটআউট: পোল্যান্ড-৩, পর্তুগাল-৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাতায় কলমে বৃহস্পতিবারের ম্যাচটা ছিল দুই দেশের লড়াই। ইউরোর শেষ চারে জায়গা দখলের লড়াই। কিন্তু এসবের আড়ালে এর চেয়েও কঠিন একটা যুদ্ধ চলছিল। একজন সাত বনাম দু’জন দশের লড়াই। হ্যাঁ, ঠিক বুঝেছেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এদিন মাঠের মধ্যে লড়ছিলেন ১০ নম্বর জার্সি ধারী লেভানডস্কির বিরুদ্ধে। আর মাঠের বাইরে দ্বন্দ্বটা চলছিল সদ্য অবসর ঘোষণা করা এলএম টেনের বিরুদ্ধে। সবকটি পরীক্ষাতেই জয়ী হলেন ’যোদ্ধা’ রোনাল্ডো।
রাত জাগা ফুটবলভক্তরা দুর্দান্ত একটা কোয়ার্টার ফাইনালের সাক্ষী হয়ে রইলেন। যেখানে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নন। পোল্যান্ড দলটায় লেভানডস্কি ছাড়া আর কোনও তারকা ফুটবলার নেই। তা সত্ত্বেও গোটা দল যেভাবে খেলল, তাতে প্রশংসা না করে থাকা যায় না। উইং দারুণ সচল। তার ওপর মিস পাসের বালাই নেই। সুন্দরভাবে বল রিসিভ করছিলেন পোলিশরা। বলে পজেশনেও এগিয়ে ছিলেন তাঁরা। ঘাটতি ছিল শুধু ফিনিশিংয়ে। যদিও দু’মিনিটেই দলকে এগিয়ে দিয়ে রোনাল্ডোদের বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিলেন বায়ার্ন স্ট্রাইকার লেভানডস্কি। চলতি ইউরোয় দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়লেন পোলিশ স্ট্রাইকার। ৩৩ মিনিটে স্যানচেসের গোলে পর্তুগিজ শিবিরে স্বস্তি ফেরে।
সিআর সেভেন এদিন হাসি মুখে মাঠ ছাড়লেন ঠিকই। কিন্তু দীর্ঘ ১২০ মিনিট তাঁর খেলা কেমন লাগল ভক্তদের? এ প্রশ্নের উত্তরে কিন্তু বিশাল কিছু উচ্ছ্বাস দেখানো যাবে না। সিআর সেভেনের যে খেলা দেখতে বিশ্ব অভ্যস্ত, তেমনটা আর দেখা গেল কই? সেই ঝড়ের গতি। সেই ড্রিবলিং। না, ছিল না। এমনকী, ওয়ান ইস্টু ওয়ান পজিশন থেকেও সঠিকভাবে বল রিসিভ করতে পারলেন না রিয়াল স্ট্রাইকার। রেফারি ততক্ষণে অফসাইডের সিগন্যাল দেখিয়ে দিয়েছিলেন বলে সে যাত্রায় রক্ষা মিলল। তবে প্রথমার্ধে ন্যায্য পেনাল্টি দেওয়া হল না রোনাল্ডোদের।
পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়টা কিন্তু সহজে এল না। শেষ চারের লড়াইটা যে এর চেয়েও কঠিন হবে, তা ভালই আন্দাজ করতে পারছেন রোনাল্ডো। শেষ চারে পৌঁছলেও তাই কোচ স্যান্টোসের কপালে চিন্তার ভাঁজ থেকেই যাচ্ছে।