Advertisement
Advertisement

Breaking News

আর্থিক অনটনেও লড়ব, রাওয়াতের কথায় উজ্জীবিত সেনা

অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কিনতে তাড়াহুড়ো নয়!

Ready to fight with available weapons: Army chief Bipin Rawat
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 19, 2018 2:09 pm
  • Updated:August 10, 2019 2:51 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনার ভাঁড়ারে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের খানিকটা অভাবের কথা জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এ কথা সত্য। কিন্তু তা বলে সেনার মনোবলে যে এতটুকু চিড় ধরেনি সে কথা সোমবার আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন, ‘হাতে যে যে অস্ত্র রয়েছে, সেই সব অস্ত্র তুলে নিয়েই লড়তে প্রস্তুত সেনাবাহিনী।’

[কুমেরুতে ৪০৩ দিন কাটিয়ে নয়া নজির ইসরোর এই মহিলা বিজ্ঞানীর]

সেই সঙ্গে তিনি একথাও জানিয়েছেন যে, সেনাবাহিনীর জন্য সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনার কথাবার্তা চলছে। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পেও যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি সংসদীয় কমিটির এক রিপোর্টে সেনার ভাঁড়ারে আর্থিক ঘাটতির কথা প্রকাশ্যে আসে। যার ফলে সেনা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কিনতে পারছে না বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভাবের ফলে ভারতের সশস্ত্র সেনা যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি তৈরি নয় বলেও একটা গুঞ্জন উঠেছিল। কিন্তু এদিন সেই সব জল্পনায় জল ঢেলে সেনাপ্রধান জানিয়ে দিলেন, যুদ্ধের জন্য সর্বদা তৈরি সেনা। অস্ত্রশস্ত্রের অভাবকে এখনই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, সেনার ভাঁড়ারে যে যে অস্ত্র এই মুহূর্তে মজুত রয়েছে, সেই সব নিয়েই লড়তে প্রস্তুত জওয়ানরা।

Advertisement

সেনাপ্রধান স্বীকার করে নিয়েছেন যে সেনার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের মেয়াদ ফুরিয়েছে। তবে এই সব উচ্চমানের অস্ত্র রাতারাতি কেনাও সম্ভব নয়। তাই ধীরেসুস্থে সবদিক খতিয়ে দেখে কেনা হবে নয়া অস্ত্র। এক্ষেত্রে মাথায় রাখা হবে কেন্দ্রের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের কথাও। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যে উজ্জীবিত প্রতিরক্ষা মহল। চিন যখন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে জোয়ার আনতে আর্থিক বাজেট বাড়িয়ে দিয়েছে, ঠিক তখনই নিজেদের কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে মুখ খুলে কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন সেনা কর্তাদের একাংশ। ২০১৮-১৯ প্রতিরক্ষা বাজেটে সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণে যে পরিমাণ অর্থ জরুরি, তার থেকে অনেক কম বরাদ্দ রাখার অভিযোগ ওঠে। এর জেরে আধুনিকীকরণে প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সারাথ চাঁদ। তবে রাওয়াত আগেই স্পষ্ট করেছিলেন, যে সেনার জন্য বরাদ্দ অর্থের পুরোটাই অস্ত্র কেনার কাজে ব্যবহৃত হয় না। খানিকটা প্রত্যন্ত অঞ্চলে নানা পরিকাঠামো তৈরিতেও খরচ হয়।

Advertisement

[৩২৪টি দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত তেজস নিতে রাজি বায়ুসেনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ