Advertisement
Advertisement

Breaking News

সাগর ঘোষ হত্যা মামলায় দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সাজা ঘোষণা করল সিউড়ি আদালত।

Sagar Ghosh murder convicts awarded life in jail
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 27, 2018 8:49 am
  • Updated:October 27, 2018 5:22 pm

নন্দন দত্ত: সাগর ঘোষ হত্যা মামলায় দুই দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল সিউড়ি আদালত। বৃহস্পতিবার, ভগীরথ ঘোষ ও সুব্রত রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তারপরই হাই কোর্টে আবেদন করার কথা জানিয়েছিলেন তাদের আইনজীবী।

[ধোনি বনাম কোহলি ম্যাচে জোরদার বেটিং, খাস কলকাতায় গ্রেপ্তার ২]

Advertisement

এদিন দোষী সাব্যস্তদের ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত। একই সঙ্গে অস্ত্র আইনে দোষীদের আরও পাঁচ বছরের জেলের সাজা শোনানো হয়। এছাড়াও এক লক্ষ টাকা জরিমান ধার্য করে আদালত। অনাদায়ে আরও এক বছরের জেলের নির্দেশ দেন বিচারক। গতকাল ৪৪৮, ৩০৩/৩৪ এবং ২৭ নম্বর ধারায় অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ভগীরথ ঘোষ ও সুব্রত রায়কে। গত ২৭ মার্চ ওই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছিল। এই মামলায় বেকসুর খালাস পান শেখ মুস্তাফা, জগন্নাথ দাস, প্রিয় মুখোপাধ্যায়, জলধর দাস, শেখ ইউনিস, আসগর আলি।

Advertisement

২০১৩ সালের ২১ জুলাই পাড়ুই থানার বাঁধনগর গ্রামে নিজের বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন সাগর ঘোষ। সেই ঘটনায় দুটি এফআইআর করা হয়। পাড়ুইয়ের বাঁধ নবগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার নেয় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। তাতে নাম ছিল তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সম্পাদক শেখ মুস্তফা, তৃণমূলের কসবা অঞ্চল সভাপতি শেখ ইউনুস, জলধর দাস, জগন্নাথ দাস, প্রিয় মুখোপাধ্যায়, ভগীরথ ঘোষ, সুব্রত রায় এবং শেখ আসগরের। শেখ আসগর ছাড়া বাকি সাত জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

তদন্তের শেষে সিউড়ি জেলা আদালতে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি চার্জ গঠিত হয়। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সিউড়ির তৎকালীন জেলা জজ গৌতম সেনগুপ্তের এজলাসে মামলার শুনানি শুরু হয়। তবে প্রথম থেকেই ওই চার্জশিট নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন সাগর ঘোষের পরিবারের সদস্যরা। তাঁর স্ত্রী সরস্বতী ঘোষ, ছেলে হৃদয় ঘোষ, পুত্রবধূ শিবানী ঘোষ মামলার সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হননি। তদন্তে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সাগর ঘোষের পরিবার। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নিম্ন আদালতে এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। পরে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেন নিহতের ছেলে হৃদয় ঘোষ। সুপ্রিম কোর্টে মামলা প্রত্যাহার করেন তিনি। নিম্ন আদালতে ফের শুরু হয় সেই মামলা। মামলায় ৪৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

যদিও নিম্ন আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট নয় হৃদয় ঘোষ। রাবনে অভিযোগ, পুলিশ তদন্তে গাফিলতি করেছে। না হলে সব অভিযুক্তই সাজা পেত। সরকারি আইনজীবী রঞ্জিত গঙ্গোপাধ্যায়ও দাবি করেন, তদন্ত আরও সঠিক ভাবে হলে মামলাতে দোষী সাব্যস্তদের সংখ্যা বাড়ত।

[ট্রেন দেখে লাইনের উপরই বাইক ফেলে ছুট চালকের, সংঘর্ষে ইঞ্জিনে আগুন]

ছবি- বাসুদেব ঘোষ

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ