Advertisement
Advertisement

স্কুলে ৪ বছরের প্রশিক্ষণ নিলেই চাকরি পড়ুয়াদের!

মনই এক অভাবনীয় সুযোগ মিলছে কোচবিহারের নামকরা স্কুল জেনকিন্সে৷

School Students may get job after Special training
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 20, 2016 11:06 am
  • Updated:July 20, 2016 12:18 pm

স্টাফ রিপোর্টার: জয়েণ্ট এণ্ট্রান্সের ঝক্কি নেই, গ্র্যাজুয়েট হয়ে নানা চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার মতো বালাই নেই, শুধু ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত আদাজল খেয়ে পড়াশোনা করা আর তার পাশাপাশি স্কুলেই একটি চার বছরের প্রশিক্ষণ কোর্স৷ ব্যস৷ টুয়েলভ পাস করার পরেই স্কুলেই ক্যাম্পাসিং ও স্বাস্থ্য দফতরের চাকরি বাঁধা৷ যে সে চাকরি নয়, হাতে গরম কুড়ি হাজার টাকা বেতন৷ এমনই এক অভাবনীয় সুযোগ মিলছে কোচবিহারের নামকরা স্কুল জেনকিন্সে৷ সৌজন্যে কেন্দ্রীয় সরকারের নোবেল পাইলট প্রোজেক্ট৷

বিষয়টি ঠিক কী? জেনকিন্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বিস্তারিত জানালেন৷ “কোচবিহারের একমাত্র আমাদের স্কুলই এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে৷ নবম শ্রেণিতে প্রতিবছর যোগ্যতার ভিত্তিতে ২৫ জন ছাত্রকে এই বিশেষ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে৷ দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চলবে প্রশিক্ষণ৷ তারপর স্কুলে ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য দফতরের স্বাস্থ্য সহায়ক পদে চাকরি মিলবে৷ যার বেতন বর্তমানে ২০ হাজার টাকা৷”

Advertisement

jenkins-School_webকী কী বিষয়ে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে? স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাজিক চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ যাতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা কাজ পায়, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প৷ জেনকিন্স স্কুলে এই প্রকল্পে আইটি এবং হেলথ কেয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ প্রশিক্ষণ দিতে ইতিমধ্যেই স্কুলে চলে এসেছেন এক প্রশিক্ষকও৷  তিনি জানান, কর্নাটকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সাফল্য দেখে তাক লেগে গিয়েছিল তাঁর৷ শুধু তিনি নন, রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা, নার্স, ল্যাব টেকনিসিয়ান, ওয়ার্ড মাস্টার ও চিকিৎসকরাও বিশেষ বিশেষ ক্লাস নেবেন৷ কাজ করতে গিয়ে কোথায়, কীভাবে সমস্যা হতে পারে, কী ভাবে তার সমাধান হবে তা নিয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা৷ দ্বাদশ শ্রেণি পাস করার পর ক্যাম্পাসিংয়ে যারা চিকিৎসা সেক্টরে সুযোগ পাবে না, তাদের জন্যও বিকল্প সংস্থান আছে৷ তারা এই প্রকল্পের প্রশিক্ষক হিসাবেও কাজ করতে পারে৷

Advertisement

এই ধরনের কার্যকরী কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সঙ্গে যেভাবে জেনকিন্স স্কুল নিজেদের জুড়েছে তাতে স্বাভাবিকভাবেই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে খুশির হাওয়া৷ শুধু নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রথম পঁচিশের মধ্যে থাকা আর মন দিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া৷ ব্যস৷ স্কুল শেষ, চাকরি জীবন শুরু৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ