Advertisement
Advertisement

‘শত্রু সম্পত্তি’ ভাবাচ্ছে কেন্দ্রকে

দেশভাগের যন্ত্রণা নতুন করে খুঁচিয়ে তুলবে এনিমি প্রপার্টি আইন সংশোধনী, দাবি বিরোধীদের৷

Seeking to amend Enemy Property Act Government to face opposition
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 1, 2016 10:29 am
  • Updated:August 1, 2016 10:29 am

জ্যোতির্ময় কর্মকার, নয়াদিল্লি:  জিএসটির টানাপোড়েনের মধ্যেই এনিমি প্রপার্টি আইন সংশোধনী নিয়ে ক্রমশ অসন্তোষ তীব্র হচ্ছে বিরোধী শিবিরে৷ তালিকা অনুযায়ী চলতি সপ্তাহেই রাজ্যসভায় আলোচনার জন্য আসার কথা এনিমি প্রপার্টি সংশোধনী বিল৷ ইতিমধ্যেই এই সংশোধনী নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে কংগ্রেস, বাম, সমাজবাদী পার্টি, জেডিইউ-সহ বিরোধী শিবিরের একাধিক রাজনৈতিক দল৷ লোকসভায় পাস হয়ে গেলেও এই বিল পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল ২৩ সদস্যের সিলেক্ট কমিটিতে৷ সেখানেই নিজেদের তীব্র আপত্তির কথা জানিয়ে ‘ডিসেণ্ট নোট’ জমা দিয়েছে বিরোধী দলগুলি৷

যাতে বলা হয়েছে, “আমাদের বিবেচনা অনুযায়ী বিলের বর্তমান খসড়ায় মূল আইনের মানবাধিকার, নৈতিকতা এবং ‘ন্যাচারাল জাস্টিস’-এর মৌলিক বিষয়গুলিকেই লঙ্ঘন করা হয়েছে৷ এছাড়াও এই বিল আদতে শত্রু দেশের সরকারের উপর কোনও প্রভাব না ফেলে আদতে আমাদের দেশের নাগরিকদেরই পরোক্ষভাবে শাস্তি দেবে৷” রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, পশ্চিমবঙ্গ এবং পাঞ্জাবের মতো যে সব রাজ্য দেশভাগের ফলে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এই সংশোধনী পাস হলে এই সব রাজ্যে নতুন করে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে৷

Advertisement

প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ এবং ’৭১-এর যুদ্ধের পর যাঁরা দেশ ছেড়ে পাকিস্তান চলে গিয়েছিল তাদের স্থাবর সম্পত্তি এবং সংস্থাই ‘এনিমি প্রপার্টি’ বা শত্রুপক্ষের সম্পত্তি হিসাবে চিহ্নিত করে অধিগ্রহণ করেছিল ভারত সরকার৷ আইন মোতাবেক এই অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চললেও বংশপরম্পরায় পূর্বপুরুষদেরই সম্পত্তি এতদিন পর্যন্ত ভোগ করে চলেছে দেশত্যাগীদের পরিবার, পরিজন বা পরিচিতরা৷ যা এতদিন ছিল নিছক খাতায় কলমে, তাই এবার পাকাপাকিভাবে বাস্তবে প্রয়োগ করতে উঠে পড়ে লেগেছে সরকার৷ দিন কয়েক আগেই অর্ডিন্যান্স জারি করে এনিমি প্রপার্টির নতুন করে হাতবদল রোধ করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র৷

Advertisement

এবার সেই সিদ্ধান্তকেই সংশোধনীর মাধ্যমে আইনি বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা চলছে৷ আর তাতেই সরব হয়েছে বিরোধীরা৷ সিপিআই-এর ডি রাজা, জেডিইউ দলের কে সি ত্যাগী, সমাজবাদী পার্টির জাভেদ আলি খান এবং কংগ্রেসের পি এল পুনিয়া ও হুসেন ডালওয়াইয়ের দাবি, সব দিক বিচার করে ১৯৬৮ সালে ভারসাম্যপূর্ণ এনিমি প্রপার্টি আইন পাস করা হয়েছিল৷ যেখানে বলা হয়েছিল, শত্রূতা কখনই চিরন্তন নয়৷ এমনকী, এনিমি প্রপার্টি আইনেই যাঁরা ভারতে থেকে গিয়েছিলেন সেই নাগরিকদের বংশানুক্রমে সম্পত্তি পাওয়ার অধিকারও স্বীকৃত হয়েছিল৷ স্বাভাবিকভাবেই জিএসটি’র মতো লোকসভায় সংখ্যার জোরে এনিমি প্রপার্টি সংশোধনী বিল পাস হয়ে গেলেও রাজ্যসভায় তীব্র সংঘোতের মুখে পড়তে হবে সরকারকে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ