Advertisement
Advertisement

Breaking News

দুই বাংলার ভূগর্ভে ঘুমন্ত এক মহাপ্রলয়

নেপালের ভূমিকম্প শুধুই ‘ট্রেলার’ ছিল৷ মহাপ্রলয়ের ‘পিকচার’ না কি ‘অভি ভি বাকি হ্যায়’! দাবি বিজ্ঞানীদের৷

sleeping giant earthquake can destroy bangladesh and west bengal
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 14, 2016 9:45 am
  • Updated:July 14, 2016 9:45 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালের ভূমিকম্প শুধুই ‘ট্রেলার’ ছিল৷ মহাপ্রলয়ের ‘পিকচার’ না কি ‘অভি ভি বাকি হ্যায়’! দাবি বিজ্ঞানীদের৷

হ্যাঁ৷ গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, ভারতের পড়শি বাংলাদেশের ঠিক নিচেই তিলে তিলে বাড়ছে প্রলয়ের মহাবীজ৷ স্পষ্ট করে বললে, এখানেই আপাতত ঘুমিয়ে রয়েছে মহা-শক্তিশালী এক ভূমিকম্প৷ প্রায় চারশো বছর ধরে প্রতিনিয়ত ধ্বংসাত্মক শক্তি সঞ্চয় করে চলেছে সেটি৷ ক্রমাগত বাড়িয়ে তুলছে বিপদের আশঙ্কা৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, জেগে উঠলে ‘জায়ান্ট’ এই কম্পনের সম্ভাব্য অভিঘাত এতখানি প্রবল হবে যে সেটি মাত্র এক ছোবলেই দক্ষিণ এশিয়ার এক বিস্তীর্ণ এলাকার মানচিত্র পুরোপুরি বদলে দিতে পারবে৷ রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পের তীব্রতা হতে পারে ৮.২ থেকে ৯৷ প্রায় ১৪ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন এই বিপর্যয়ের ফলে৷ আতঙ্ক এই কারণেও বহুগুণ বেশি যে, এই বিপর্যয়-রাডারে যে যে এলাকা রয়েছে, তার মধ্যে শুধু বাংলাদেশ নয়, রয়েছে গাঙ্গেয় বদ্বীপ-সহ পূর্ব ভারতেরও বেশ কিছু অংশও৷ তা, কবে-কখন হবে সেই ভয়াল কম্পন? কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাইকেল স্টেকলারের ভাষায়, “জানি না৷ আগামিকাল সেই কম্পন হবে না পাঁচশো বছর পর হবে, বলা সম্ভব নয়৷ তবে যেটা জানা গিয়েছে, সেটা হল, এই কম্পন হবেই এবং এর প্রভাব ব্যাপক হবে৷”

Advertisement

ঘটনাচক্রে, বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষের গভীরে অবস্থিত যে বিপজ্জনক অংশের কথা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সেটি ভূগোলের ভাষায় ‘সাবডাকশান জোন’৷ ওই অঞ্চলে রয়েছে দু’টি টেকটনিক প্লেট৷ যারা প্রতিনিয়ত একে অপরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে৷ বিজ্ঞানীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বছরে প্রায় ১৭ মিলিমিটার করে ইন্ডিয়ান প্লেট এগিয়ে চলেছে সান্ডা প্লেটের দিকে৷ এর ফলেই দক্ষিণ এশিয়ায় একের পর এক কম্পনের ঘটনা ঘটে চলেছে৷ যেমন ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে ভয়াবহ সুনামি এবং ভূমিকম্প, ২০১১ সালে জাপানে ভূমিকম্প এবং সুনামি৷

Advertisement

কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও ধ্বংসাত্মক সেই শক্তিপুঞ্জের পূর্ণ নিষ্ক্রমণ ঘটছে না৷ মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বড়সড় কম্পন ঘটিয়ে সেই শক্তি মুক্ত হবে৷ ঘটনা হল, একেবারে যদি সেই শক্তির সম্পূর্ণ মুক্তি হয়, সেক্ষেত্রে ঢাকা-সহ গাঙ্গেয় বদ্বীপ এলাকার ১৮ থেকে ১০০ ফুট পর্যন্ত জমি জেগে উঠতে পারে৷ সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহপথ৷ জলের তলায় চলে যেতে পারে বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ মহা প্রলয়ের মুখোমুখি হবে দুই বাংলা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ