Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুকুর ভরাটের জোরজুলুম, উচ্ছেদের আশঙ্কায় ১১ পরিবার

পুকুর ভরাটের প্রতিবাদ করায় দিনরাত তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷

Syndicate mafia tries to fill pond, families are afraid of eviction
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 16, 2016 10:31 am
  • Updated:August 16, 2016 10:31 am

স্টাফ রিপোর্টার: পুকুর ভরাট সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ভিটে ছাড়া হওয়ার আশঙ্কা ১১টি পরিবারের প্রায় ৫০ জন সদস্যের৷ উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানা এলাকার সৃজনীপল্লিতে ২৫ শতকের একটি পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছে৷ ওই এলাকার বাসিন্দা তথা শাসক দলের দুই কর্মী জোর করে ওই পুকুর ভরাট করছে বলে অভিযোগ৷ পুকুর ভরাটের বিরু‌দ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় এলাকার বাসিন্দাদের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ তাদের বিরু‌দ্ধে৷ একদিকে মুখ্যমন্ত্রী পুকুর ভরাট অথবা সিন্ডিকেট নিয়ে তোপ দেগেছেন, অন্যদিকে সেই নির্দেশকে অমান্য করে চলছে জোরজুলুম৷

দত্তপুকুর স্টেশনের অদুরে পোস্ট অফিস সংলগ্ন এই ২৫ শতকের পুকুরের চারিধারে বসবাস করে ১১টি পরিবার৷ কেউ দিনমজুর, কেউ ভ্যানচালক৷ ১৯৮০ সালে তৎকালীন বাম সরকার উদ্বাস্তুদের নিয়ে কলোনি তৈরি করার সময় তাদের এখানে আশ্রয় দেয়৷ এই পরিবারগুলির দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে এই পুকুরটি৷ তবে অভিযোগ, গত কয়েক মাস যাবৎ পুকুরটি ভরাট করতে তৎপর হয়েছে এলাকার দুই জমি মাফিয়া চন্দন পাল এবং সুব্রত পাল৷ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দু’জনই তৃণমূলকর্মী৷ পুকুরটি ভরাট করে সেখানে প্লটিং করার জন্য পুকুরে মাটি ফেলতে শুরু করে তারা৷ বাধা দিতে গেলে এলাকাবাসীদের ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ৷ ওই এলাকার বাসিন্দা দুর্গ বিশ্বাস জানান, পুকুর এবং পার্শ্ববর্তী জমিটি দু’জন মালিকের নামে৷ তবে এই চন্দন ও সুব্রত জোর করে তা ভরাট করতে চাইছে৷

Advertisement

এলাকাবাসীদের চন্দন জানায়, পুকুরটি তারা কিনেছে৷ তবে সরকারি নথিতে তাদের মালিকানার কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি এলাকাবাসীর৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুলিশে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ তাঁরা আরও জানান, পাশের একটা পুকুর কয়েকদিন আগেই ভরাট করেছে এই দুই জমি মাফিয়া৷ এবার এই ২৫ শতকের পুকুরটি ভরাট করে তাঁদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করছে বলে আশঙ্কা তাঁদের৷ এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা৷

Advertisement

দত্তপকুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান রীতা দাস জানান, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুকুরে মাটি ফেলার কাজ বন্ধ করা হয়েছে এবং প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে৷ তবে মাটি ফেলা বন্ধ হওয়াতে হুমকি আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের৷

ওই এলাকার বাসিন্দা সমীর কর্মকার জানান, পুকুর ভরাটের প্রতিবাদ করায় দিনরাত তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷ প্রতিবাদ বন্ধ না করলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ প্রতিবাদ বন্ধ করলে ভিটে ছাড়া করা হবে, আর প্রতিবাদ চালিয়ে গেলে আক্রান্ত হতে হবে৷ তাই এখন উভয়সংকটে পড়ে প্রশাসনের মুখাপেক্ষী ওই এগারোটি পরিবার৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ