স্টাফ রিপোর্টার: অধীর চৌধুরি ও আবদুল মান্নান যৌথভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ করছেন বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া৷ একেবারে নাম করে অধীর-মান্নানের বিরুদ্ধে বিষোদগার মানসের৷ প্রশ্ন তুললেন, সবং কাণ্ডে দল কেন তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি?
বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদকে কেন্দ্র করে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস৷ বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার দ্বন্দ্ব পৌঁছেছে মুষলপর্বে৷ এই অবস্থায় এক সাক্ষাৎকারে মানস ভুঁইয়া সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন আবদুল মান্নাননের বিরুদ্ধে৷ তিনি বলেন, “আমার মুখে কালি মাখিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা৷ আমাকে খলনায়ক বানানো হয়েছে৷ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি ও সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটিকে ভুল বোঝাচ্ছেন আবদুল মান্নান৷” পিএসি কমিটির সদস্য করার আগে আবদুল মান্নান তাঁকে দিয়ে ফর্মে সই করিয়ে নিয়েছিলেন বলে জানান মানস৷ তাঁর বক্তব্য, “পিএসি কমিটির সদস্য হিসাবে চারজন কংগ্রেস বিধায়কের নাম ঠিক করা হয়৷ মানস ভুঁইয়া, সুখবিলাস বর্মা, অসিত মিত্র ও শঙ্কর সিং৷ আবদুল মান্নান নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে আমাকে পিএসির সদস্য পদের ফর্মে সই করান৷ তারপর কেন আমাকে অসম্মান করলেন তিনি?”
পাশাপাশি তিনি বলেন, “১০ বছর পর বিধানসভায় এসেছেন আবদুল মান্নান৷ অনেক বিষয় বুঝতে পারছেন না৷ স্পিকারের বিরুদ্ধে ওভাবে উঠে দাঁড়িয়ে বলা যায় না৷” পিএসির চেয়ারম্যান পদে সুজন চক্রবর্তীর নাম চূড়ান্ত করার আগে কেন কংগ্রেস বিধায়কদের মতামত নেননি বিরোধী দলনেতা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মানস৷ একইসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি এসএমএস ‘ফাঁস’ করে বিশ্বাস ভেঙেছেন বলে অভিযোগ সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়কের৷ প্রশ্ন তুলেছেন “সবংয়ের ঘটনার পর দল কি পাশে দাঁড়িয়েছে? কোনও নেতা পথে নামেননি কেন? বিধানসভায় একটিবারের জন্য বিরোধী দলনেতা প্রসঙ্গটি তোলননি কেন?” অধীরবাবুর চিঠি পেলে তবেই পদ ছাড়ার বিষয় ভেবে দেখবেন বলে জানান মানস ভুঁইয়া৷ তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষ৷ বৃহস্পতিবার মালদহে তিনি বলেন, “পিএসি-র চেয়ারম্যান পদের যোগ্য ব্যক্তি মানস ভুঁইয়া৷ তিনি সিনিয়র লিডার৷ দক্ষও বটে৷ বিরোধী দলের তরফ থেকেই পিএসি-র চেয়ারম্যান করা হয়৷ কাজেই নিয়মানুযায়ী স্পিকার বিরোধী দলের প্রবীণ বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার নাম চেয়ারম্যান পদে ঘোষণা করেছেন৷ এটা নিয়ে কংগ্রেস ফালতু রাজনীতি করছে৷”