‘বাঙালি হওয়ায় কথা শুনতে হত, এবার তো একেবারে বিদেশিই করে দিল’
দুই পুরুষের বাস। ব্রহ্মপুত্রের তীরে কতই না জোয়ার-ভাটার সাক্ষী। এই মাটিকেই আপন বলে এতদিন জেনেছেন। কিন্তু মাত্র একটা ঘোষণায় সবকিছু পালটে গেল। জীবন যেন খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে সঞ্জয় দে-র। বাঙালি হলেও এতদিন নিজেকে অসমের বলেই মেনেছেন। কিন্তু জাতীয় নাগরিকপঞ্জি একটি খসড়াতে পৃথিবীটাই বদলে গিয়েছে অসমের ব্যবসায়ীর। আচমকা জানতে পেরেছেন। এ মাটিতে তাঁর আর কোনও অধিকার নেই। তিনি নাকি এখানকার বাসিন্দাই নন। অথচ একই তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর পরিবারের বাকি সকলের। ব্রাত্য কেবল চল্লিশোর্ধ্ব সঞ্জয় দে ও তাঁর এক ভাই। এক লহমায় গোটা দুনিয়া ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। এতদিন বাঙালি হওয়ার জন্য কথা শুনেছেন, এবার নাগরিকত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। বিভ্রান্ত বাসিন্দার মুখে কেবল একটাই প্রশ্ন, ‘এমনিতেই ভাষার জন্য কথা শুনেছি, আর কত শুনব?’