Advertisement
Advertisement

Breaking News

Fraud

খাস কলকাতায় ভুয়ো কল সেন্টার থেকে উদ্ধার সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা! গ্রেপ্তার ৮

উদ্ধার হয়েছে ১৩টি ল্যাপটপ, আটটি মোবাইল-সহ বহু সামগ্রী।

Fake call centre in Kolkata, 8 youth arrested | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 14, 2022 9:38 pm
  • Updated:April 14, 2022 9:38 pm

অর্ণব আইচ: ভুয়ো কল সেন্টারের ভিতর লুকিয়ে রাখা নগদ প্রায় সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা। গভীর রাতে তল্লাশি চালিয়ে সেই বিপুল টাকা উদ্ধার করল লালবাজার। এই ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছেন লালবাজারের সাইবার থানার (Lalbazar Cyber Cell) আধিকারিকরা।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ গার্ডেনরিচ এলাকার একটি বাড়িতে তল্লাশি চালায়। দেখা যায়, ভিতরে ল্যাপটপ নিয়ে চলছে কল সেন্টার। অথচ তার কোনও ধরনের লাইসেন্স নেই। ঘরের ভিতর থেকে সৈয়দ আসকানি, মহম্মদ আহমেদ সহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা মূলত কর্মী। তল্লাশির সময় পালিয়ে যায় মালিক। ভিতর থেকে ১৩টি ল্যাপটপ, আটটি মোবাইল, চারটি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও ঘরের একটি সিন্দুক থেকে উদ্ধার হয় ১৮ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হোটেলের ঘরে তরুণীর রহস্যমৃত্যু, অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার ঠাকুমা, চাঞ্চল্য ডায়মন্ড হারবারে]

পুলিশের দাবি, ওই ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতারণা করেই জোগাড় করা হয় ওই টাকা। অভিযোগ, গার্ডেনরিচের ওই কল সেন্টারে বসে ইউরোপ ও আমেরিকায় ফোন করত তারা। নিজেদেরকে বহুজাতিক সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে বিদেশের বাসিন্দাদের ফোন করত। তাঁদের কম্পিউটারে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হত। এরপর ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে খারাপ করে দেওয়া হত তাঁদের কম্পিউটার। বলা হত, একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টে ডলার বা পাউন্ড পাঠালে তবেই ওই কম্পিউটার সারানো যাবে। ওই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর পর তা হাতিয়ে নিত তারা।

Advertisement

পুলিশের মতে, ওই অ্যাকাউন্টে টাকা না জমিয়ে তা তুলে নেওয়া হত। ওই ১৮ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা তুলে ভুয়ো কল সেন্টারে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পিতবার ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাদের জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী জানান, বিদেশের বাসিন্দাদের প্রতারণা করে অভিযুক্তরা দেশের বদনাম করছে। তাদের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের জেরা করে ওই কল সেন্টারের মালিকের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: সিপিএমের উদ্যোগে এলেন পুরোহিত, দীর্ঘ টালবাহানার পর সম্পন্ন হাঁসখালির নির্যাতিতার পারলৌকিক কাজ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ