ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দুজনই প্রার্থী। তবে দল আলাদা। কিন্তু, তাঁদের মিল রয়েছে দুটি। একজন সৌগত রায়। একজন নেপালদেব ভট্টাচার্য। প্রথম মিল, তৃণমূল ও সিপিএমের দমদমের এই দুই প্রার্থীর কেউই কারও যুযুধান নন। দ্বিতীয় ও প্রধান মিল, কেউই নিজের ভোটটাও দিলেন না!
[আরও পড়ুন: সরাসরি বিজেপিকে ভোট দিতে বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, অভিযোগ তৃণমূলের]
প্রার্থী থেকে ভোট সেনাপতি, সপ্তম তথা শেষ দফা ভোটে প্রবল ব্যস্ত প্রত্যেকেই। ভোটের দিন দমদমের বিস্তীর্ণ এলাকা ছেড়ে যাওয়া মুশকিল। তাই নিজের ভোটই দিতে যেতে পারলেন না সৌগতবাবু। কারণ দমদম কেন্দ্রে বিদায়ী সাংসদ বাড়ি কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের ল্যান্সডাউনে। তৃণমূল সৌগত রায় জানালেন, “আগেরবারও ভোট দিতে পারিনি। লোকসভা ভোটে নিজের এলাকা ছেড়ে তো যেতেই পারি না। সকাল সকাল বেরিয়ে এত বড় এলাকা ঘুরতে হয়।” কথাটা শুনে প্রায় চমকেই উঠলেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়। বললেন, “কী আর করা যাবে। অত দূর থেকে আসবেনই বা কীভাবে!” একই কারণে নিজের ভোট দিতে পারলেন না নেপালদেব ভট্টাচার্য। তিনি ভাটপাড়ার ভোটার। দমদম ছেড়ে নিজের এলাকায় ভোট দিতে যেতে পারেননি তিনিও।
ভোটে এদিকে ব্যস্ততম ওয়াররুম সাজিয়েছে তৃণমূল। প্রার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভোটটা দিয়ে স্রেফ এলাকায় ঘুরে বেড়াতে হবে। কোনও গোলমালের খবর পেলে দ্রুত সেখানে পৌঁছাছতে হবে। দুই ২৪ পরগনা ও দুই কলকাতার সর্বত্র একই নিয়ম। সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, নুসরত জাহান প্রত্যেকেই এলাকায় দিনভর থাকতে হল এলাকায়। তাঁদের হয়ে ভোট করানোর দায়িত্ব নিয়েছেন বিধায়করা। বিধাননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসু শ্রীভূমিতে নিজের অফিসে ভোটের তদারকি করলেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “ভোটটা শান্তিতে শেষ হয়ে যাক। কারও উসকানিতে পা দেব না।”
[আরও পড়ুন: ভোট দিয়ে নিজের কেন্দ্র বসিরহাটে দিনভর চষে বেড়ালেন তারকা প্রার্থী নুসরত]
উত্তর কলকাতার হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সকাল সকাল ভোট দিয়ে বেরিয়ে পড়েন। মাঝে মাঝে ভোট পরিচালনার খবর নিতে হাজির হন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের অফিসে। ডায়মন্ডহারবারের হেভিওয়েট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটটুকু দিয়েই তিনিও চলে যান নিজের কেন্দ্রে। দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী মালা রায়। নিজের বাড়িতেই দলের সেন্ট্রাল অফিস তাঁর। তবে মূল ওয়াররুম দলের সদর পার্টি অফিস তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে।