সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল করাচি (Karachi Blast )। শনিবার দুপুরের বিস্ফোরণে ইতিমধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম অন্তত ১৩। ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকে রয়েছে বলে খবর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকার্য। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, করাচির গ্যাস পাইপ লাইনে (Gas Pipeline) বিস্ফোরণটি হয়। এর পিছনে যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি নাশকতা, তা এখনও জানা যায়নি।
অন্যান্য দিনের মতোই এদিনও ব্যস্ত ছিল করাচির শেরশাহ পর্চা চক এলাকা। ওই এলাকায় নালার মধ্যে দিয়ে গ্যাসের পাইপ লাইন গিয়েছে। তার উপরে রয়েছে একটি বেসরকারি ব্যাংকের বিল্ডিং (Pruvate Bank Building)। সেই পাইপ লাইনেই এদিন বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায়। বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরে যায় এলাকা। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় অন্তত ১০ জনের দেহ। ১৩ জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এপ্রসঙ্গে সাহেদ মহতরমা বেনজির ভুট্টো হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের বিভাগীত প্রধান ডা. সাবিরপ মেমন ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। ১৩ জন জখমের মধ্যে অন্তত ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
[আরও পড়ুন: ATK Mohun Bagan: ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ এটিকে মোহনবাগান কোচ হাবাসের]
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, নালার মধ্যে থাকা গ্যাসের পাইপ লাইনে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেই বিস্ফোরণের জেরে বেসরকারি ব্যাংক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এদিন শনিবার হওয়ায় ব্যাংকে অল্প সংখ্যক কর্মী উপস্থিত ছিলেন। ফলে ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়েছে। তবে বিল্ডিংটির প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার মুহূর্তে ব্যাংকে ৭ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তবে বহু গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকে। তাঁদের অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন বলে খবর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরাতে দু’টি বিরাট আকারের মেশিন আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেসরকারি ব্যাংকটিকে অন্য বিল্ডিংয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছিল। কিন্তু সেই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগে বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ল বিল্ডিংটি।