Advertisement
Advertisement

Breaking News

রয়টার্সের ২ সাংবাদিককে ৭ বছরের জেলের সাজা দিল মায়ানমার

নিন্দায় সরব আন্তর্জাতিক মহল৷

2 Reuters journalists jailed for 7 year in Myanmar
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 3, 2018 12:04 pm
  • Updated:September 3, 2018 12:18 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে ৭ বছরের জেলের সাজা দিল মায়ানমার৷ রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমার থেকে সংবাদ পরিবেশন করছিলেন সাজাপ্রাপ্তরা৷ তারপরই দেশের গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে৷ ওই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয় দুই সংবাদকর্মীকে৷    

[রোহিঙ্গাদের সাহায্যে ‘মাল্টি-সেক্টর’ প্রকল্পের প্রস্তাব বিশ্বব্যাংকের]

Advertisement

সোমবার সাজা ঘোষণার পর পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় ক্যাও সোয়ে ও এবং ওয়া লোন নামের রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে৷ উত্তর ইয়াঙ্গন জেলা আদালতে মামলাটির শুনানি হয়৷ এদিন বিচারপতি ইয়ে লিন বলেন, “দোষীরা ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’-এর আওতায় দেশের গোপনীয়তা ভঙ্গ করেছেন৷ তাঁরা বেআইনিভাবে গোপন নথি প্রকাশ করেছেন৷” উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসে ওই সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা৷ সংবাদমাধ্যমের উপর রাশ টানার চেষ্টা করছে মায়ানমার বলেও অভিযোগে সরব হয়েছেন সংবাদকর্মীরা৷ নিন্দায় সরব হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ৷ দুই সাংবাদিকের মুক্তির দাবি জানিয়েছে তারা৷

Advertisement

এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এডিটর-ইন-চিফ স্টিফেন জে এডলার৷ তিনি বলেন, “এই রায় মায়ানমার ও সংবাদ সংস্থাটির জন্য দুঃখজনক৷” এদিকে দোষী সাব্যস্ত সাংবাদিকদের দাবি, পুরোটাই সাজানো ঘটনা৷ ষড়যন্ত্র করে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে৷ গ্রেপ্তারির দিন কয়েকজন পুলিশকর্মী তাঁদের একটি খাবারের দোকানে ডেকে আনেন৷ সেখানে ওই পুলিশকর্মীরাই তাঁদের কয়েকটি নথি দেন৷ তার কিছুক্ষণ পরেই গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ সাজা ঘোষণার পর সাংবাদিক ওয়া লোন বলেন, “আমি কোনও ভুল করিনি৷ তাই কাউকে ভয় করার প্রশ্ন নেই৷ গণতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থায় আমার বিশ্বাস এখনও অক্ষুণ্ণ৷”  

উল্লেখ্য, রাখাইন প্রদেশে হিংসার দরুণ প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ জঙ্গি দমনের নামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়টিকে উচ্ছেদ ও গণহত্যার অভিযোগও রয়েছে বার্মিজ সেনার বিরুদ্ধে৷ সরকারি বাহিনীর অত্যাচার ও পীড়িত রোহিঙ্গাদের দশা খবরে তুলে ধরেছেন দুই দোষী সাব্যস্ত সাংবাদিক৷ ফলে তাঁদের সরকারের রোষে পড়তে হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷          

[রোহিঙ্গা গণহত্যায় রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট, কাঠগড়ায় মায়ানমারের সেনাপ্রধান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ