Advertisement
Advertisement

ইসরোর সাফল্যকে খাটো করে ভারতকে তুলোধোনা করল চিন

অথচ ভারতের সাহায্যেই মহাকাশে উপগ্রহ পাঠাতে চায় বেজিং। তবে কি...

According to the Chinese media, India's space technology still lags behind the US and China
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 16, 2017 5:01 am
  • Updated:February 16, 2017 5:01 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর ঐতিহাসিক সাফল্য যখন দেশ-বিদেশের মিডিয়ায় বন্দিত হচ্ছে, তখনও চিনা মিডিয়া ভারতের সমালোচনা করতে ছাড়ল না। চিনের কমিউনিস্ট সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে ইসরোর ঐতিহাসিক সাফল্যকে সীমিত বলে উল্লেখ করা হল। বুধবারই একসঙ্গে ১০৪টি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে ভারত।

Advertisement

(এবার শুক্রগ্রহে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরো)

বৃহস্পতিবার চিনা সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় বৈজ্ঞানিকরা বিলক্ষণ জানেন, তাঁদের এই কৃতিত্বের সীমাবদ্ধতা কতটুকু। আম ভারতীয়রা মিডিয়া রিপোর্ট দেখে খুশি হতে পারেন, ভারতীয় বৈজ্ঞানিকরা হবেন না নিশ্চয়। ওই সংবাদপত্রের আরও দাবি, মহাকাশ গবেষণায় চিনের চেয়ে এখনও ঢের পিছিয়ে ভারত। ভারত নাকি এখনও একটি সম্পূর্ণ সিস্টেমই তৈরি করে উঠতে পারেনি। দূরপাল্লার মহাকাশ গবেষণায় রকেট পাঠানোর মতো ইঞ্জিনই নাকি ভারতের নেই, প্রকাশ চিনা সংবাদপত্রে। সম্পাদকীয়তে প্রকাশিত হয়েছে, ভারতের এত আনন্দিত হওযার কী হয়েছে? মহাকাশে ভারতের কোনও স্পেস স্টেশন নেই। নেই কোনও মহাকাশচারীও। অন্যদিকে, চিনের দু’জন মহাকাশচারী গতবছর ৩০ দিনেরও বেশি টিয়াংগং স্পেস স্টেশনে কাটিয়েছেন।

(পাল্লা বেড়ে অপ্রতিরোধ্য হচ্ছে সুপারসনিক ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইল)

বুধবার সকাল ৯.২৮ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে মহাকাশে পাড়ি দেয় পিএসএলভি সি ৩৭৷ এই রকেটের সাহায্যেই মহাকাশে ১০৪টি উপগ্রহ মহাকাশে স্থাপন করেছে ইসরো৷ যা ভেঙে দিয়েছে ৬০ বছরের কৃত্রিম উপগ্রহের ইতিহাসের সমস্ত রেকর্ড৷ ১৯৫৭ সালে মহাকাশে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক ওয়ান পাঠিয়েছিল সোভিয়েত দেশ৷ তারপর থেকে বুধবারের আগে অবধি একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৩৭টি উপগ্রহ পাঠানো গিয়েছে মহাকাশে৷ সেই রেকর্ড ছিল রাশিয়ার৷ কিন্তু, বুধবার রাশিয়াকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে গেল ভারত৷ তা-ও তূলনামূলক অনেক কম খরচে৷ খুব শীঘ্রই আমেরিকার নাসা, ইওরোপের ইসা, রাশিয়ার রসকসমস এমনকী চিনও মহাকাশে উপগ্রহ পাঠাতে নিয়মিত সাহায্য নিতে চলেছে ইসরোর৷ আর সে জন্য ইসরোকে উপযুক্ত মূল্য দিতেও কসুর করবে না তারা৷ কারণ, বুধবার মহাকাশ গবেষণায় বিশ্বরেকর্ড গড়ে ইসরো বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের পিএসএলভি সি৩৭ রকেটই এ ব্যাপারে গোটা বিশ্বে যোগ্যতম৷ এবং পকেটবান্ধবও৷ একদিকে চিন আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের সাহায্য নিয়েই মহাকাশে উপগ্রহ পাঠাতে উদ্যোগী হচ্ছে, আবার অন্যদিকে সেই চিনেরই কমিউনিস্ট পরিচালিত সংবাদপত্রে ভারতকে তুলোধোনা করা হল। চিনের এই দ্বিচারিতার কী জবাব দেবে ভারত, সেটাই এখন দেখার।

(ভারতীয় বায়ুসেনাকে অজেয় করতে হ্যালের এক ডজন পদক্ষেপ)

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement