সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২১ সালের আগস্টে নতুন করে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করে নেয় তালিবান। আর সেই সময় থেকেই ফের একটু একটু করে বদলে গিয়েছে ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’। দেখা গিয়েছে সেখানে খুব কম বয়সে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আফগান মেয়েদের। এর পিছনেও রয়েছে তালিবান আতঙ্কই।
সমাজকর্মী ও মানবাধিকার কর্মীরা জানাচ্ছেন, এই বিয়ে দিয়ে দেওয়ার পিছনে রয়েছে আফগান অভিভাবকদের ভয়। তাঁরা চাইছেন, কোনও তালিবান তাঁদের মেয়েদের জোর করে বিয়ে করার আগেই কোনও আফগানের সঙ্গে তাদের বিয়ে দিতে। এই কারণেই একেবারে নাবালিকা অবস্থাতেই আফগান মেয়েদের বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: গণতন্ত্র নিয়ে জ্ঞান দেবেন না, রাষ্ট্রসংঘে কড়া বার্তা ভারতের]
তাছাড়া বিয়ে দিয়ে দিলে পরিবারের সদস্যের সংখ্যাও কমবে। দারিদ্রের কবলে পড়ে হাঁসফাঁস সাধারণ আফগানদের কাছে সেটাও অনেকটা স্বস্তির। কিন্তু এর ফলে মেয়েদের শিক্ষা ও স্বাবলম্বী হওয়ার সম্ভাবনাও যে ক্রমে ক্ষীণ হচ্ছে সেবিষয়ে আর ভাবনাচিন্তা করছেন না তাঁরা। ফলে মেয়েদের সমস্যা বাড়ছেই।
গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করেছিল জেহাদিরা। নতুন করে সেদেশে শুরু হয়েছিল অন্ধকার যুগ। যদিও ক্ষমতা দখলের পরে তারা জানিয়েছিল, এটা তালিবান ২.০। গতবারের মতো দমন পীড়ন নয়, বরং সাধারণ আফগান বিশেষ করে নারীদের স্বাধীনতা রক্ষায় ব্রতী থাকবে তারা। কিন্তু তা যে স্রেফ ‘ফাঁকা বুলি’, সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল দ্রুতই। ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ধীরে ধীরে স্বমহিমায় ফিরেছে জেহাদিরা। বিভিন্ন অপরাধে হাত-পা কেটে ফেলা, শিরশ্ছেদের মতো শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেছে জেহাদি নেতৃত্ব। ভরা স্টেডিয়ামে বেত মারা হয়েছে পরকীয়া থেকে চুরি নানা অভিযোগে অভিযুক্তদের। দেখা যায়, সেদেশে নারীদের প্রতিও আগের মতোই আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই চলছে তালিবান। শিক্ষা থেকে স্বাধিকার, সব কিছু থেকেই বঞ্চিত করা হচ্ছে মেয়েদের। সেই সঙ্গে জোর করে নাবালিকাদের তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করতেও দেখা যাচ্ছে তালিবানকে।
[আরও পড়ুন: সামরিক ব্যর্থতায় হাতছাড়া পূর্ব পাকিস্তান, দাবি পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর]
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- খুব কম বয়সে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আফগান মেয়েদের। এর পিছনেও রয়েছে তালিবান আতঙ্ক।
- সমাজকর্মী ও মানবাধিকার কর্মীরা জানাচ্ছেন, এই বিয়ে দিয়ে দেওয়ার পিছনে রয়েছে আফগান অভিভাবকদের ভয়।
- তাঁরা চাইছেন, কোনও তালিবান তাঁদের মেয়েদের জোর করে বিয়ে করার আগেই কোনও আফগানের সঙ্গে তাদের বিয়ে দিতে। এই কারণেই একেবারে নাবালিকা অবস্থাতেই আফগান মেয়েদের বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে।