Advertisement
Advertisement
China COVID

দরকার নেই চারগুণ বোনাস! ‘টোপ’ উপেক্ষা করে চিনের আইফোন কারখানা থেকে পালাচ্ছেন কর্মীরা

লকডাউনের 'আতঙ্কে' যে করে হোক বাড়ি ফিরতে চান ওই কর্মীরা।

After workers flee, China iPhone factory offers bonuses for those who stay। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:November 1, 2022 3:51 pm
  • Updated:November 1, 2022 4:17 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সাল থেকে লড়াই শুরু করলেও, কিছুতেই করোনা ভাইরাসকে (Coronavirus) বাগে আনতে পারছে না চিন (China)। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই জারি করতে হচ্ছে লকডাউন (Lockdown)। এই অবস্থায় সেদেশের ঝেংঝউ প্রদেশ, যেখানে বিশ্বের বৃহত্তম আইফোনের কারখানা রয়েছে, সেখান থেকে শয়ে শয়ে কর্মীদের রীতিমতো বেড়া ডিঙিয়ে পালাতে দেখা গিয়েছে। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই মুহূর্ত। লকডাউনের ‘আতঙ্ক’ যে কীভাবে গ্রাস করছে চিনের মানুষকে তাই যেন ফুটে উঠছে ওই ভিডিওয়।

জানা যাচ্ছে, কর্মীদের ধরে রাখতে তাদের উপরে কোনও জোর করছে না সংস্থা। কিন্তু তাদের আটকাতে দেওয়া হচ্ছে ‘টোপ’। বোনাস চারগুণ বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সংস্থা। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত কাজ করলেই মিলবে অতিরিক্ত বোনাস। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। চিনের কড়া ‘কোভিড নীতি’র ধাক্কায় একবার লকডাউন শুরু হলে যে সহজে ফেরার সুযোগ মিলবে না, এই আশঙ্কাতেই অধিকাংশ কর্মীই দ্রুত কারখানা থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে চাইছেন। একেকজনের বাড়ি ১০০ কিলোমিটার বা তারও বেশি দূরত্বে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: একটানা লকডাউনে জীবন বিপর্যস্ত, বাপি লাহিড়ীর ‘জিমি জিমি’ গানে অভিনব প্রতিবাদ চিনা নাগরিকদের]

বছর দুয়েক আগে করোনা মহামারীর তাণ্ডবে যখন গোটা বিশ্ব ত্রস্ত ছিল, তখন সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিল চিন (China)। কিন্তু এবার পরিস্থিতি যেন ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। একের পর এক শহরে দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর তাই গত কয়েক মাস ধরেই কড়া লকডাউনের পথে হেঁটেছে বেজিং। যেখানেই মাথাচাড়া দিয়েছে সংক্রমণ, সেখানেই জারি হয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। সরকারের এমন কড়া নীতির জেরে চিনা আমজনতার নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। এই পরিস্থিতিতে ঝেংঝউ প্রদেশে গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭ জন। তাই কোনও ঝুঁকির রাস্তায় হাঁটতে রাজি নন আইফোন কারখানার শ্রমিকরা।

যদিও জানা যাচ্ছে, সংস্থা বাধা না দিলেও সরকারি তরফে কোনও রকম সহযোগিতাই করা হচ্ছে না। বরং সেদেশের স্থানীয় মানুষরাই তাঁদের ফেরার বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। খাদ্য, পানীয়-সহ প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সাহায্য করছেন।

[আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের আগে ৫ কোটিরও বেশি লেনদেন, তেলেঙ্গানার বিজেপি প্রার্থীকে নোটিস কমিশনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ