Advertisement
Advertisement

Breaking News

Azerbaijan-Armenia war

আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার যুদ্ধে ঘি ঢালছে তুরস্ক, জল্পনা উসকে অভিযোগ আসাদের

এখনও পর্যন্ত ২৪৪ বিদ্রোহী আর্মেনীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

Azerbaijan-Armenia war: Syrian President accuses Turkey of being main instigator | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 7, 2020 1:17 pm
  • Updated:October 7, 2020 1:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিগত দিন দশেক ধরে তুমুল লড়াই চলছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার (Armenia) মধ্যে। বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে চলা এই লড়াইয়ে ইন্ধন জোগাচ্ছে তুরস্ক। এমনটাই দাবি করেছেন সিরিয়ার (Syria) প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।

[আরও পড়ুন: সারা বিশ্বে নিজেদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে প্রস্তুত চিন! চাইল WHO’র সাহায্য]

মঙ্গলবার এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসাদ দাবি করেন, নিজের স্বার্থপূরণে ইয়েরেভান ও বাকুর মধ্যে সংঘাত আরও বাড়িয়ে তুলতে চায় আঙ্কারা। সিরিয়া থেকে জঙ্গিদের লড়াইয়ের ময়দানে পাঠাচ্ছে তুরস্ক (Turkey)। আর এই গোটা ঘটনাবলীর নেপথ্যে রয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগান। রুশ সংবাদমাধ্যম RIA-তে আসাদ বলেন, “নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে চলা আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সাম্প্রতিক সংঘর্ষ উসকে দিয়েছে সে (এরদোগান)।” ফরাসি প্রেসিডেন্টের সুরেই তিনি আরও বলেন, “সিরিয়া থেকে উগ্রপন্থীদের লড়াইয়ের ময়দানে পাঠাচ্ছে তুরস্ক। এই অভিযোগের সপক্ষে আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।”

Advertisement

এদিকে, সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখ থেকে শুরু হওয়া লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত ২৪৪ বিদ্রোহী আর্মেনীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাগর্নো-কারাবাখের ‘আর্টসাক ডিফেন্স আর্মি’র এক আধিকারিক। গত কয়েকদিনের লড়াইয়ে দু’পক্ষের বেশ কিছু ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ধ্বংস হয়েছে। দু’পক্ষের কয়েকশো সেনার পাশাপাশি বহু অসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। আর্মেনিয়া হুমকি দিয়েছে, প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্রবাহী দূরপাল্লার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে।

Advertisement

অধুনা বিলুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই সদস্য দেশের লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই জড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বেশ কিছু দেশ। মুসলিম রাষ্ট্র আজারবাইজানকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক ও পাকিস্তান। অন্যদিকে, খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ আর্মেনিয়ার প্রতি ঝুঁকে রয়েছে আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ পশ্চিমী দুনিয়া এবং রাশিয়া। সব মিলিয়ে দুনিয়াকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার মতো যথেষ্ট রসদ রয়েছে ককেশাস অঞ্চলের চলা অত্যন্ত জটিল এই লড়াইয়ে। 

[আরও পড়ুন: নাভালনির শরীরে মিলেছে নভিচকের মতো নার্ভ এজেন্ট, দাবি রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ