সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরীরের নিয়মেই বার্ধক্য আসে। প্রাণের মায়া ত্যাগ করে মুক্ত হয় আত্মা। প্রকৃতির এই নিয়ম মেনেই ইহলোক ত্যাগ করেছিলেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী লুয়াং ফোর পিয়ান। লোপবুরির মন্দিরের কাছে সমাধিস্থ করা হয়েছিল তাঁর দেহ। বৌদ্ধ রীতি মেনে দুই মাস পর কবর থেকে বের করে আনা হয় সে দেহ। কিন্তু সন্নাসীর মৃতদেহ দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। কারণ মৃত সন্নাসীর সারা মুখে ছড়িয়ে রয়েছে হাসি। তৃপ্তির হাসি।
[ওয়াশিংটনের রাস্তায় ছবি বেচে দিন গুজরান আইআইটি প্রাক্তনীর]
কম্বোডিয়ার বাসিন্দা পিয়ান সারা জীবন ভগবান বুদ্ধর পথ অবলম্বন করেছেন। নিজের এলাকায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন সন্ন্যাসী। ৯২ বছরে যখন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, প্রথা মেনেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তখনও তাঁর মুখ জুড়ে ছিল প্রশান্তি। মুক্তির শান্তি। কিন্তু হাসি এতটা চওড়া ছিল না। কিন্তু দু’মাস পর যখন কবর থেকে তাঁর দেহটি তোলা হয়। সারা মুখ জুড়ে রয়েছে হাসি। আর শরীরেও তেমন পচন ধরেনি। দেখে মনে হচ্ছে যেন মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
[বিশ্বমানের ম্যানগ্রোভ জাদুঘরে একসঙ্গে ২০ লক্ষ দর্শনার্থী, কোথায় জানেন?]
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ খবর প্রকাশ্যে আসা মাত্রই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভাইরাল হয়েছে সন্নাসীর ছবিটি। কিন্তু মৃত্যুর এতদিন পরেও কীভাবে এমন হাসি সম্ভব? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বেশিরভাগেরই বিশ্বাস, প্রকৃত অর্থেই নির্বাণ অর্থাৎ মোক্ষ লাভ করেছেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। আর সেই তৃপ্তিই হাসির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর মুখমণ্ডলে। বৌদ্ধ নিয়ম মেনেই এ দেহকে সযত্নে রাখা হবে ১০০ দিন। তারপর পূর্ণ মর্যাদায় তা পুনরায় সমাধিস্থ করা হবে। অনেকের বিশ্বাস, সেই সময়ই স্থায়ীভাবে সন্ন্যাসীর পবিত্র আত্মা শরীর ত্যাগ করবে। শুরু হবে অনন্তের পথে যাত্রা।
[হাসির চোটে মৃত্যু, বিশ্বে ১০ জন মানুষের পরিণতি এমনটাই]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.