সুকুমার সরকার, ঢাকা: সরকারের হাইকমান্ডের নির্দেশে বাংলাদেশ জুড়ে মাদক নির্মুলে অভিযান শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগেও একাধিকবার মাদকবিরোধী অভিযান হয়েছে। তবে এবারের অভিযান ভিন্ন। এবারের অভিযানে নিশানায় মাদক ব্যবসার মূল হোতা ও গডফাদারদের দিকে। মাদক নির্মুলে এবারে একের পর এক গুলিযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। আর এ ঘটনায় নিহতরা বড় মাদক ব্যবসায়ী। গত ৪ মে থেকে শনিবার পর্যন্ত র্যাব সারাদেশে ৪৮৫টি মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে। এই ১৬ দিনে র্যাবের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে ১৮ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ৫০১ জন। ২০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট ২২৮৭ জন মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় দেশব্যাপী অভিযানে ৫৫৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[রাজকীয় বিয়েতে প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়নাকে অনন্য সম্মান হ্যারি-মেগানের]
শনিবার রাত ও রবিবার ভোরে গুলিযুদ্ধে ময়মনসিংহ ও ফেনী জেলায় গুলিযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছে। তারা মাদক চোরাকারবারি বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিনই যশোরের অভয়নগরে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। র্যাব একটি বস্তায় ৪০০ বোতল ফেনসিডিল, ২টি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, ১টি চাইনিজ কুড়াল ও ১টি গুলিভর্তি ম্যাগজিন উদ্ধার করে। ১৮ মে চট্টগ্রাম সদরে হাবিবুর রহমান প্রকাশ ওরফে মোটা হাবিব ও মহম্মদ মোশাররফ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আবদুল আলিম, ১৭ মে রাজশাহীর আবুল হাসান, ১৫ মে কুষ্টিয়ার হামিদুল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জের রিপন নামক মাদক ব্যবসায়ী র্যাবের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে নিহত হয়। ময়মনসিংহ শহরের মাসকান্দা এলাকার গনশার মোড়ে শনিবার গভীর রাত সোয়া ২টো নাগাদ গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রিয়াজুল ইসলাম বিপ্লব (৪০) নামে একজন মারা যায়। ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম পাঠানগড় এলাকায় রবিবার ভোরে বন্দুকযুদ্ধে আলমগীর হোসেন ভুইয়াঁ (৩৩) নামে এক মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়।