সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বাংলাদেশে। তারই প্রেক্ষিতে দেশটির হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানাল বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট। শনিবার রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি সভায় এই দাবি জানায় সংগঠনটি।
[বাংলাদেশে পরকীয়ার অভিযোগে যুবতীকে চাবুক মেরে খুন]
এদিন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে ২০১৭ সালে সারা দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ‘নির্যাতনের’ পরিসংখ্যাণ তুলে ধরে তারা হিন্দু মহাজোট। সংগঠনটির সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায় বলেন, “প্রতিবারই নির্বাচনের আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন বাড়ে। বিগত বছরে নির্যাতন কিছুটা কমে এলেও হিন্দুরা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নির্বাচনের আগে আমরা এই নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানাই।” সংবাদ সম্মেলন থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন সময়ে ভূমি থেকে উচ্ছেদ ও দেশান্তরে বাধ্য করা, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর, গুজবে উসকানি দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
সংগঠনের সভাপতি অভিযোগ জানান, প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের মূল লক্ষ্য ছিল, হিন্দুদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করা। প্রশাসনের অবহেলায়, প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ মদতে এই অংশটি সংখ্যালঘুদের সমূলে বিনাশ করতে চায়। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যাণ তুলে ধরতে গিয়ে হিন্দু মহাজোটের নেতারা জানান, জোটের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য-প্রতিবেদনের আলোকে তারা এই পরিসংখ্যাণ তৈরি করেছেন। পরিসংখ্যাণে জানানো হয়, ২০১৭ সালে হত্যা ও লাশ উদ্ধার হয়েছে ১০৭টি, ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ৯৮। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের সব মানুষের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।
[বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে হামলায় ২২৮ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের চার্জশিট]