সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী ছেড়ে পালিয়েছে। ঢাকার শৌচাগারে সন্তানের জন্ম দিলেন ভারতীয় মহিলা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কামালপুর রেল স্টেশনের শৌচাগারে। ওই মহিলার নাম রোকসানা আখতার (৩০)। মঙ্গলবার সদ্যোজাত-সহ রোকসানাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভাল আছেন মা ও শিশু।
[বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন সামলাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ঘোষণা মন্ত্রীর]
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিক আবদুলের সঙ্গে রোকসানার বিয়ে হয়। বিয়ের পরই স্ত্রীকে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যায় আবদুল। তবে নতুন বউকে নিজের বাড়িতে তোলার সাহস হয়নি। নারায়ণগঞ্জে আবদুলের বোনের বাড়ি সেখানেই ছিল নব দম্পতি। পেশায় আসবাবপত্রের ব্যবসায়ী আবদুল বাংলাদেশ থেকে ভারতে ব্যবসা করতে আসত। সেই সূত্রেই রোকসানার সঙ্গে আলাপ। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোকসানার বাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে দু’জনের বিয়ে দিয়ে দেন।
পাসপোর্ট ভিসাতেই প্রথম শ্বশুরবাড়ির দেশে পা রাখেন রোকসানা। এরপর দীর্ঘদিন কাটলেও তাঁর বাপের বাড়ি যাওয়া হয়নি। এরমধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। বেশ কিছুদিন আগে দেশে যাওয়ার কথা ঠিক হয়। সেইমতো পাসপোর্ট সংক্রান্ত কিছু অফিসিয়াল কাজকর্ম ছিল। আবদুল তা করতে গিয়ে রোকসানার থেকে তাঁর পাসপোর্ট চেয়ে নেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটি হারিয়ে যাওয়াতেই ঘটে বিপত্তি। স্ত্রীকে ভারতে ফেরানোর রাস্তা একপ্রকার বন্ধ। বুঝতে পেরেই সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে ফেলে পালিয়ে যায় সে। বিদেশ বিভুঁইয়ে ওই গৃহবধূ আচমকা একা হয়ে পড়ায় দারুণ দুশ্চিন্তায় ছিলেন রোকসানা। তবে কী করে তিনি স্টেশনে এলেন। সেখান থেকে কোথায় যাচ্ছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। সোমবার স্টেশনের শৌচাগারে তিনি সন্তানের জন্ম দেন। খবর পেয়ে স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ইয়াসিন ফারুক মা ও বাচ্চার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। দু’জনকেই প্রথমে নিকটবর্তী মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে স্থানান্তর করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আবদুলের খোঁজে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।