Advertisement
Advertisement

Breaking News

Taliban

জওয়াহিরির মৃত্যুর রেশ না কাটতেই ফের বিস্ফোরণে কাঁপল কাবুল, মৃত কমপক্ষে ৮

হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট।

Blast in Kabul, Afghanistan kills 8; Islamic State claims responsibility | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 6, 2022 9:31 am
  • Updated:August 6, 2022 9:31 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আল কায়দা প্রধান আয়মান আল-জওয়াহিরির মৃত্যুর রেশ না কাটতেই বিস্ফোরণে কাঁপল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। শুক্রবার শহরটির একটি জনবহুল এলাকায় ঘটা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত আটজনের। আহত কমপক্ষে পঞ্চাশ। হামলার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট।

রয়টার্স সূত্রে খবর, কাবুলের শিয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় বিস্ফোরণটি ঘটেছে। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত আটজন। তবে আইএস দাবি করেছে, বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বলে রাখা ভাল, আফগানিস্তানে (Afghanistan) বরাবর শিয়া সম্প্রদায়কে নিশানা করে আসছে সুন্নি জঙ্গি সংগঠন উসলামিক স্টেট। এই বিষয়ে কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, রাজধানীর জনবহুল এলাকায় বিরাট মাপের প্রাণহানির চেষ্টায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জঙ্গিরা। এক তালিবান নেতাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, একটি সবজির গাড়িতে বিস্ফোরক রেখেছিল জঙ্গিরা। ভিড়ে ঠাসা এলাকায় বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা ৫০। আহতদের অনেকেরই আঘাত গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে আতঙ্কে ছড়াচ্ছে ইসলামিক স্টেট, দাবি তালিবানের]

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে কাবুল দখল করে তালিবান (Taliban)। মার্কিন ফৌজ বিদায় নিলেও আখুন্দজাদার সংগঠনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে আইএস। মার্কিন ফৌজ সরে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দর-সহ একাধিক তালিবান নেতার উপর হামলা চালায় ইসলামিক স্টেট খোরাসানের জঙ্গিরা। গত মে মাসে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফ। তিনটি বাসে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় মৃত্যু হয় ন’জনের। আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন। ওই অঞ্চলের তালিবান কমান্ডার মহম্মদ আসিফ ওয়াজারি রয়টার্সকে জানায়, মৃত ও আহতরা প্রায় সকলেই আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু মুসলিম শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। এবং শিয়াদেরই নিশানা করেছিল জঙ্গিরা। ওই মাসেই কাবুলের হজরত জাকারিয়া মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় অন্তত ৩০ জনের।

Advertisement

প্রসঙ্গত, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। ওই মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়। কিন্তু ফের শক্তি সংগ্রহ করছে তারা।

[আরও পড়ুন: ‘মুসলিম গণহত্যাকারী’ চিনকে সমর্থন, তালিবানকে হুঁশিয়ারি দিল ইসলামিক স্টেট খোরাসান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ